ঢামেকে করোনার চিকিৎসা অন্যান্য রোগীদের শঙ্কা

রাজধানী স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন। কর্মরত চিকিৎসকদের অভিযোগ না জানিয়েই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেনারেল মেডিসিন বিভাগের ২ নম্বর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রেখে, সেখানেই আবার করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হলে হাসপাতালের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা ধসে পড়বে বলে মনে করছেন অনেক চিকিৎসক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা মেডিকেলের জেনারেল মেডিসিন বিভাগের ২ নম্বর ভবনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ডায়ালাইসিস সেন্টার। এখানে নয় তলায় হেমোটোলজি অর্থাৎ বোন মেরু ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হয়, তিন তলায় কার্ডিয়াক সার্জারি, পাঁচ-ছয়-সাত-আট তলায় মেডিসিনের চিকিৎসা হয়। নতুন নির্দেশনা অনুসারে এখানকার সব রোগীকে সরিয়ে নিতে হবে এবং সার্জারি ও গাইনি বিভাগেই কেবল করোনার ট্রিটমেন্ট হবে না।
মুশকিল হলো, ঢাকা মেডিকেলে রোগী আসা-যাওয়া, চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিভাগে যাতায়াতের প্যাসেজ একটিই। সেক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা সম্ভাব্য আক্রান্ত লোকজনের সংস্পর্শ এড়ানোর সুযোগ নেই। কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই আগামী রোববারের মধ্যে এখানে করোনার মত অধিক ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্তদের ভর্তি করানোর পরিকল্পনা হচ্ছে এবং বিষয়টি আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে জানতে হয়েছে, বলেন তিনি।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার রেডি করছি, আইসিইউ’র একটু পুনঃব্যবস্থাপনা করতে হবে। জনবল প্রস্তুত করছি। ডাক্তারদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য আমরা হোটেল খুঁজছি। বেশ কিছু হোটেলের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ এক জায়গায় তো আর এতগুলো হোটেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আশা করছি আগামীকাল সেসব বিষয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলব।
করোনার চিকিৎসার প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসকদের চারটি গ্রুপ করা হবে। যারা এখানে ডিউটি করবেন, তারা হোটেলে আলাদাভাবেই থাকবেন। তাছাড়া করোনা ইউনিটকে মূল হাসপাতাল থেকে একটু আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা ব্যারিয়ার দিচ্ছি। আমাদের একটি গেট ছিল, যেটি বন্ধ থাকে। সেই গেট দিয়েই এবার আমরা করোনা রোগীদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। দেখা যাক, পরবর্তীতে হয়ত সেগুলোতে আরো পরিবর্তন আনতে হতে পারে।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা না করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বসার কি আছে এখানে। সবাই এখানে সরকারের কর্মচারী। যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে, সে সেখানে দায়িত্বপালন করবে। যারা করোনার ট্রিটমেন্ট করবে, তাদের সঙ্গে কি বসে আলাপ করতে হবে? এখানে তো কয়েক হাজার চিকিৎসক-নার্স আছে, এখন সবার সঙ্গে বসে কি আমরা আলাপ করব?


বিজ্ঞাপন