বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্যায় কৃষকের ক্ষতি পোষাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অতিদ্রুত বন্যাপ্লাবিত এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি ও মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।
কৃষিমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদুল আজহাপরবর্তী পুনর্মিলনী সভায় অনলাইনে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরিভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ করতে হবে। সেজন্য, বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে ১৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও নিয়মিত কাজের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠপর্যায়ের কাজের তদারকি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে মাঠপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রণোদনা কার্যক্রম মনিটরিং করলে এসব কাজে আরও গতি আসবে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ও চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি জেলার সবজি ও আমন ধানচাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৪টি কমিটি কাজ শুরু করেছে। কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশে এসব তদারকি ও সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান কমিটির সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন। সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও এর অধীনস্থ দফতর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এসব কমিটি গঠন করে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কমিটি বন্যাপ্লাবিত এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে অনলাইন মিটিং ও সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠের সকল কার্যক্রমের তদারকি ও মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছে। এছাড়া, তদারকির মাধ্যমে কৃষকের উঁচু স্থানে কমিউনিটি বীজতলা তৈরি, কৃষকের উঁচু স্থান না থাকলে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (এটিআই) কমিউনিটি বীজতলা তৈরি, উৎপাদিত বীজ/চারা সঠিক সময়ে কৃষকদেরকে সরবরাহ, যে এলাকায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে সেখানে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নাবীতে বপনযোগ্য বীজ সরবরাহ প্রভৃতি কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।


বিজ্ঞাপন