বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন

এইমাত্র জাতীয়

মহসীন আহমেদ স্বপন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানেই বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্ব। সারা বিশ্বেও বিস্ময় শেখ মুজিবের বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা নেতৃত্ব গুণেই আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে সমীহ করতে শুরু করেছে সারা বিশ্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা এক যুগ পূর্তি পার করল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ।
পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসোপানে। বর্তমানে সারা দেশে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলেছে। এই চার মেগা প্রকল্প আগামী বছরের জুনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে।
করোনার মধ্যেও প্রতিটি ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও দারুণ গতিতে আসছে রেমিট্যান্স। ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। রিজার্ভের ক্ষেত্রেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ অবস্থান করছিল ৪ হাজার ২০৯ কোটি (৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন) ডলারে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল আজ বাংলাদেশ। ষাটের দশক থেকে দেশের মানুষ পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের কথা শুনে এলেও বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের যুগে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১০ সালে। পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুকেন্দ্রটির উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মতপার্থক্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই একে অবাস্তব বলে সমালোচনা করেছিলেন। দিনে দিনে সেই পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানির মতো বাংলাদেশের মানুষও যে মেট্রোরেলে চড়বে, সেই স্বপ্নও পূরণ হতে চলেছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ও পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহর চীনের সাংহাই নদীর মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে গড়ে উঠবে।
আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য মাথাপিছু জিডিপি ৪ শতাংশ বেড়ে হতে পারে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার? এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারিতে গত এপ্রিলে রপ্তানি আয় তলানিতে পৌঁছালেও এরপর ধীরে ধীরে বাড়ছিল, তবে ডিসেম্বরে এসে আবার হোঁচট খেয়েছে।
চ্যালেঞ্জ নিয়েই যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করে চলেছেন, তেমনি ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্রসীমানা বিরোধেরও নিষ্পত্তি করেছেন শেখ হাসিনা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বুলেট ট্রেনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান সরকার। বুলেট ট্রেনটি চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো যাবে মাত্র ৫৫ মিনিটে। অর্থাৎ, ছয় ঘণ্টার জায়গায় সময় বাঁচবে পাঁচ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে ঢাকা-মাওয়া চার লেনের সড়কটিও শেষ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যদি এ ভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে তা হলে বাংলাদেশ অভিষ্ট লক্ষে দ্রুতই পৌছাবে বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডখ্যাত বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৌঁছাতে আর বেশীদিন দুরে নয়।


বিজ্ঞাপন