পরীমণি নায়িকা, তার সাথে নানাবিধ পুরুষের সম্পর্ক থাকাটা দোষের কিছু নয় : গফফার চৌধুরী

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বপক্ষের যোদ্ধা আব্দুল গাফ্‌ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘বোট ক্লাবের ঘটনার পরে আসামিরা যে সহজেই জামিন পেল তার রহস্য কী?


বিজ্ঞাপন

এই শক্তিশালী মহলটি প্রশাসনের একাংশকে বশ করে যে এই ঘটনাগুলো সাজিয়েছে তা বুঝতে কি কষ্ট হওয়ার কথা? তারপর মিডিয়ায় প্রচার।

এই প্রচারগুলো যে সত্য নয় তা সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিনের বিবৃতিতে জানা গেছে।

সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি নিয়ে পরীমণির বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে আরেফিন সাহেবের বিবৃতিতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

পরীমণির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘিরে প্রচারণার কথা উল্লেখ করে এই প্রথিতযশা সাংবাদিক লিখেছেন, ‘পরীমণি নায়িকা। তার নানাবিধ পুরুষের সঙ্গেই সম্পর্ক থাকতে পারে। সেটা কি অপরাধ?

সবিনয় জিজ্ঞাসা, আদালতে বিচার হওয়ার আগে দেশের চলচ্চিত্র জগতের সম্ভাবনাময় তরুণীর জীবন যেভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হলো তার দায়িত্ব কে নেবে?

আদালতের বিচারে পরীমণি যদি দোষী সাব্যস্ত হয় এবং শাস্তি পায় তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।

কিন্তু একজন তরুণীকে যেভাবে আটক করে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা শুধু নারী সমাজের অপমান নয়, মানবতার অপমান। আমাদের নাগরিক স্বাধীনতার ওপর একটি ভয়ংকর থাবা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আব্দুল গাফ্‌ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলেই নারীদের ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছে।

সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবিনয় আবেদন, পরীমনির ব্যাপারে তিনি হস্তক্ষেপ করুন।

তাকে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে বলি না। তাকে হায়েনা গোষ্ঠীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

পরীমণির সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা যে দেশের আর একজন নাগরিকের ওপর করা হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?’

বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সচেতন বুদ্ধিজীবী শ্রেণির কাছে আবেদন জানাই,

তারা পরীমণির ওপর এই হেনস্থার প্রতিবাদ করুন। দয়া করে চুপ থাকবেন না। পরীমনির ওপর অত্যাচারের নিন্দা জানান।

মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, তারা যেন অত্যাচারিতের পক্ষে দাঁড়ান। অত্যাচারী গোষ্ঠীর পক্ষে না যান।