বেনাপোলে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্য শুল্কায়ন বন্ধ

অপরাধ

সন্ধ্যার পর পন্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে

 

মো. সুমন হোসেন, যশোর : কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল জাতীয় পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, সন্ধ্যার পর পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল জাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন ফলে জাতীয় পণ্য থেকে সরকারের দুই থেকে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।

তবে সম্প্রতি এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শুল্ক ফাঁকির কারসাজিতে সরকার যেমন হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনি তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন।

আমদানিকারক হাজী ইউনুস আলী জানান, ফল জাতীয় পণ্য এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত খালাস নিতে পারতাম।

তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর পচনশীল জাতীয় ফল খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পণ্য আটকে থেকে গরমের মধ্যে পচে নষ্ট হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরে গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ১১ ট্রাক ফল জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে কাস্টমসে বিধি নিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ফাকি রোধে সন্ধ্যার পর ফল জাতীয় পণ্য খালাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ ফল ছাড়করনের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে থাকে।

আমদানিকারকদের কাছে ৩ কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব পড়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।