ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবার কারবার

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন বানিজ্য রাজধানী সারাদেশ স্বাস্থ্য

* নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
* পায়ুপথে ১৫শ’ পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার ৩

মহসীন আহমেদ স্বপন : মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মরণ নেশা ইয়াবা বন্ধে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, সাঁড়াশি অভিযান, মামলা, আত্মসমর্পণ- সবই চলছে। কিন্তু তবু বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবার কারবার। বরং সড়কপথ, আকাশপথ, নৌপথ আর পাহাড়ি এলাকা দিয়ে পাচার হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান।
কক্সবাজার থেকে পায়ুপথে ইয়াবা বহন করে রাজধানীতে আসার সময় যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ইসমাইল মোল্লা (২০), শাহীন মিয়া (২৫) ও শামীম ম-ল (১৯)। গ্রেফতারের সময় পায়ুপথ থেকে বিশেষভাবে রাখা ১৫শ’ পিস ইয়াবা বের করে জব্দ করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান সোমবার বলেন, গত রোববার রাতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায় সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রোবারি প্রিভেনশন টিম।
ইয়াবা সা¤্রাজ্য টেকনাফে নৌপথে ইয়াবা ঢুকছে। পরবর্তীতে টেকনাফ থেকে নৌপথে কুয়াকাটা, বরিশাল হয়ে তা ঢাকায় আসছে। আবার ঢাকা থেকে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে যাচ্ছে। সেখান থেকে নানা হাতবদল হয়ে সারাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বিকল্প রুটে ভারত থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ ও বাল্লা এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়েও অবাধে ঢুকছে ইয়াবা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের ফলে শহরে ইয়াবার ব্যবহার কমলেও গ্রামে বিস্তার বেশি। গ্রামাঞ্চলেই এখন ইয়াবার রমরমা ব্যবসা চলছে। তবে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে আগের চেয়ে ইয়াবা ব্যবসার জৌলুস অনেকটাই কমেছে। এখন কেউ প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করছে না। কার্যক্রম চলছে গোপনে। এমন পরিস্থিতিতে নৌপথে ইয়াবা পাচার রোধ করতে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র জানায়, দেশের গ্রামাঞ্চলে ইয়াবা এখন অনেকটা মহামারি রূপ নিয়েছে। প্রায় প্রতিটি গ্রামের আনাচেকানাচে পর্যন্ত বিস্তার ঘটেছে নীরব ঘাতক ক্রেজি ড্রাক ইয়াবার। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও বহন করছে এই মরণ বড়ি। রাজনীতিকদের একটি অংশ এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। ইয়াবায় আসক্ত নেই এমন কোনো পেশার লোক পাওয়া যাবে না। শ্রমজীবী থেকে শুরু করে একেবারে সব পেশার মধ্যে ইয়াবা আসক্ত রয়েছে। গ্রামে ইয়াবা খাওয়ার যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, নিয়মিত ইয়াবা খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। তবে ইয়াবায় আসক্ত হওয়ার পর প্রথমে শক্তি বাড়লেও পরে ধীরে ধীরে শক্তি কমিয়ে দেয়। উত্তেজিত হয়ে আসক্তরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণ ও খুনের মামলার আসামিদের অধিকাংশই ইয়াবায় আসক্ত। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের মূলে এই ইয়াবা সেবন। এর কারণে সন্তান মা-বাবাকে মারছে। খুন, চুরি, ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন নিয়ে সরকার যেমন উদ্বিগ্ন, চিন্তিত অভিভাবক মহলও। ইয়াবা পাচারে একশ্রেণির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জড়িত থাকায় এটা নিয়ন্ত্রণ অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে নতুন কৌশেলে দেশজুড়ে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সড়কপথে তৎপরতা বৃদ্ধি করায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বড় চালান পাচারের জন্য নৌপথকে নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে। শহরাঞ্চলে ইয়াবা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে সাগরপথে মানব পাচার প্রায় বন্ধ থাকায় ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েছে পাচারকারীরা। নৌপথে ইয়াবা পাচারে সহায়তা করছে কিছু ফিশিং ট্রলারের মালিক এবং জেলে। একশ্রেণির জেলে মাছ ধরার নামে তা বহন করে। তাদের হাত ধরে ইয়াবার চালানগুলো কূলে উঠে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ‘বোট টু বোট’ ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রেও ইয়াবা চালানের হাতবদল হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের মাধ্যমে, কন্টেইনারের মাধ্যমেও ইয়াবা আসছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ছাড়াও টেকনাফ, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলাসহ দেশের প্রায় সব নৌপথ দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের ২৫ কিলোমিটার বর্ডার অরক্ষিত। সেখান দিয়েও প্রবেশ করছে ইয়াবা। পাশাপাশি সিলেটের জকিগঞ্জ ও বাল্লা সীমান্ত দিয়েও ইয়াবা আসছে। এটি ইয়াবা পাচারের নতুন রুট। ওপারে ভারতের আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ে ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে ইয়াবা আসছে। এ বিষয়টি দুই দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ তুলে ধরবে বলে জানা গেছে। এদিকে চট্টগ্রামে হঠাৎই বেড়েছে ইয়াবার চোরাচালান। ঈদুল আজহার কয়েক দিন আগে থেকে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ইয়াবার ছোটো-বড়ো চালান ধরা পড়ছে। গত কয়েকদিনে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যান, বাস, ট্রাকসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায় মধ্যপ্রাচ্যের চাকরি বাদ দিয়ে দেশে এসে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। চট্টগ্রাম কারাগারের ভেতরেও চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, কারারক্ষীদের সহায়তায় কিছু কিছু বন্দি এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ জুন ইয়াবাসহ একজন কারারক্ষী এবং তার পরদিন এক বন্দির পেট থেকে ৩০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত চত্বর থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে বন্দিরা। ইয়াবা ব্যবসায় পুলিশ, ছাত্র, জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি এমনকি গৃহবধূরাও জড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ইয়াবাও এসেছে। সুস্পষ্ট তথ্য ছাড়া যত্রতত্র গরুর ট্রাক না থামাতে পুলিশের ওপর নির্দেশনা থাকায় ইয়াবা পাচারকারীরা অনেকটা বিনা বাধায় বড়ো বড়ো চালান নিয়ে এসেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে মাঝখানে অনেকদিন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কম ছিল। কিন্তু ঈদ সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গরু আসা শুরু হলে পাশাপাশি ইয়াবাও আসতে শুরু করে। যার কারণে গত কয়েকদিনে অনেকগুলো ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। মিয়ানমার থেকে আনা ইয়াবার চালান চট্টগ্রামকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হতো। তবে চট্টগ্রাম ভিত্তিক সিন্ডিকেট অনেক আগেই ভেঙে দেয়া হয়েছে। গডফাদারদের অধিকাংশই হয়তো কারাগাওে, নয়তো বিদেশে পলাতক। কয়েকজন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম আর সেভাবে রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। তবে বিকল্প রুট হিসেবে ভারত হয়েও কিছু চালান এবার দেশে এসেছে। দেশের অন্যান্য স্থানে যেসব ইয়াবা ধরা পড়েছে তা মূলত ভারত থেকে আসা। বর্তমানে রুট পরিবর্তন করে ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা আসা শুরু হয়েছে। তবে দেশে ইয়াবার চাহিদা যতদিন না কমবে ততদিন এর চোরাচালানও রোধ করা যাবে না। চোরাকারবারিরা বিকল্প রুট দিয়ে যে কোনো মূল্যে ইয়াবা নিয়ে আসবেই। এদিকে এ প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) মাসুম রাব্বানি জানান, রাজধানীসহ বড়ো বড়ো শহর এলাকায় শক্তিশালী অভিযানের কারণে ইয়াবা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে গ্রামাঞ্চলে ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই গ্রামে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ইয়াবার পাশাপাশি মাদকের নতুন সংযোজন এলএসডি এখন দেশে আসছে। নৌপথ, আকাশ পথ ও সীমান্ত দিয়ে এখনো দেশে মাদক আসছে। অন্যদিকে এ বিষয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানান, ইয়াবা পাচারকারীদের রুট পরিবর্তন হয়েছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে। কুড়িগ্রামের রৌমারীসহ উত্তরাঞ্চলে সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাসহ মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। নৌপথেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা যে ধরনের কৌশলের আশ্রয় নেবে, নিয়ন্ত্রণে আমরাও সেই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পায়ুপথে ১৫শ’ পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার ৩ : কক্সবাজার থেকে পায়ুপথে ইয়াবা বহন করে রাজধানীতে আসার সময় যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ইসমাইল মোল্লা (২০), শাহীন মিয়া (২৫) ও শামীম ম-ল (১৯)। গ্রেফতারের সময় পায়ুপথ থেকে বিশেষভাবে রাখা ১৫শ’ পিস ইয়াবা বের করে জব্দ করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান সোমবার বলেন, গত রোববার রাতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায় সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রোবারি প্রিভেনশন টিম। অভিযানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টিম জানতে পারে, ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার থেকে রওনা দিয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে পায়ুপথে ইয়াবা বহন করছেন তারা। তিনি বলেন, ওই সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে চট্টগ্রাম সড়কে অবস্থান নেয় টিম। অবস্থানকালে সন্দেহজনকভাবে উল্লিখিত তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ধাওয়া করে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক অবস্থায় তারা মাদকদ্রব্যের কথা অস্বীকার করলেও তাদের পেটে ইয়াবা আছে বলে সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা বিশেষ পদ্ধতিতে পায়ুপথ দিয়ে পেটে প্রবেশ করানো ১৫শ’ পিস ইয়াবা বের করে দিলে ইয়াবা জব্দসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
৪৩ হাজার ইয়াবাসহ নারী গ্রেফতার: এদিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে ৪৩ হাজার ৫০টি ইয়াবাসহ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের দাবি, গ্রেফতার আসমা বেগম (৩৪) ওই এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার র‌্যাব-২ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার বিকালে তুরাগ থানার উত্তর খায়েরটেক এলাকার একটি বাড়িতে ইয়াবা বেচাকেনার গোপন খবর পায় র‌্যাব। ব্লক ‘এ’র ২৯ নম্বর টিনশেড বাড়ির সামনে গেলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন দৌড়ে পালাতে থাকে। সে সময় আসমাকে আটক করে। পরে তার শরীর ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৪৩ হাজার ৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আসমা ইয়াবা বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *