বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ভূমি ফেরত পাওয়ার দাবি

অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় জীবন-যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোববার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে বাগেরহাট জেলার সরুই মৌজায় অস্থায়ী পুলিশ লাইনে বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত নকিব আকরাম হোসেন কর্তৃক ক্রয়কৃত জমি ফেরত পাওয়ার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান নকিব সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নকিব আকরাম হোসেনের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্বাধীনতার পর আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত নকিব আকরাম হোসেন অতিকষ্টে সরুই মৌজায় কিছু জায়গা খরিদ করেন এবং ঘরবাড়ী তৈরী করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাগেরহাট মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। এসময় আমার বাবার অনুমতি ছাড়া কিছু পুলিশ সদস্য আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন এবং বলে আমরা মাসে ভাড়া দিব এবং নতুন পুলিশ লাইন নির্মিত হলে তারা অন্যত্র চলে যাবে। এক পর্যায়ে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ নতুন জায়গায় নতুন করে পুলিশ লাইন নির্মাণ করে দেয়। ১২/০৪/২০০৫ সালে সেটা উদ্বোধনও হয় কিন্তু তারপরও উক্ত পুলিশরা আমাদের জায়গা ছাড়ে না। এরপর আমার বাবা ২০০৯ সালে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড. সাহারা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং আমাদের সমস্যার কথা জানালে মাননীয় মন্ত্রী বাগেরহাট জেলার এসপি সাহেবকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে এসপি সাহেব কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে এ বিষয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে আমার বাবা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্ট আমাদের বসতবাড়ী দখল করে রাখায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৭,৪০,০০০/-টাকা দেওয়ার আদেশ দেয়। এর কিছুদিন পর আমার বাবা মারা যান। কোর্ট থেকে এই আদেশ পেয়ে বাগেরহাটের এসপি আমাকে এবং আমার মাকে আমাদের জায়গার কাগজপত্রসহ দেখা করতে বলেন। আমার অসুস্থ মাকে নিয়ে কয়েকবার দেখা করেও কোন সুরাহা করতে পারি নাই। আমার বাবা মারা যাওয়ার কারণে হাইকোর্টের মামলাটি স্থগিত হয়ে আছে। বর্তমানে মামলার খরচ পরিচালনা করার মত কোন আর্থিক সঙ্গতি আমাদের নেই। বিধায় একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ক্রয়কৃত জমি ফেরত পাওয়ার দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


বিজ্ঞাপন
👁️ 19 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *