
নিজস্ব প্রতিনিধি (মুন্সিগঞ্জ) : মুন্সিগঞ্জ জেলা গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম আহবায়ক খাদিজা আক্তার আখি সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীকে সুসংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে ।

নারায়নগঞ্জের চাষার তার কর্মস্থল যমুনা ব্যাংকে বসে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে । প্রতিনিয়ত তার অফিসে গজারিয়া আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীদের যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে ।
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে রয়েছে তার বিশেষ সম্পর্ক । দলীয় সাইনবোর্ডে নির্বাচিত হয়েছিল গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানও । গঠন করে ছিল নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী বাহিনীও।

পতিত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদ ছিল তার একক নিয়ন্ত্রণে। টি আর কাবিখা, টেন্ডার সকল কিছুই হয়েছে তার ইশারায়।বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছে। হয়েছে শুন্য থেকে কোটি টাকার মালিক।

আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে উপজেলার সর্ববৃহৎ ভবেরচর বাজারটি ছিল তার একক নিয়ন্ত্রণে। তার ভাই ব্রাদার ও বাবা আয়নাল মিলে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল এই বাজারটিতে।
সুপারবোর্ড, পলিক্যাবেলস এবং বসুন্ধরার সহ একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল তার সিন্ডিকেটেরনিয়ন্ত্রণেই৷ বালু মহল থেকেও পেতেন নিয়মিত মাসোহারা৷ সর্বশেষ ভাইস চেয়ারম্যান পদটি ব্যবহার করে হাতিয়ে নিযেছে যমুনা ব্যাংকে একটি চাকরিও।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর গজারিয়া উপজেলা আওয়ামিলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ।
পালিয়ে বেড়াচ্ছে অধিকাংশ দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে উপরের একটি বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে আওয়ামীলীগের এই প্রভাবশালী নেত্রী খাদিজা আক্তার আখি । অবশ্য বছর খানিক তিনি অনেকটা চুপচাপই ছিলেন।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসন করতে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সক্রিয় হয়েছেন, এরকম সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে।
