স্বরূপকাঠির গুয়ারেখা ইউপির রূপ বদলাতে চান রব সিকদার

সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : আগামী ২১ জুন বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। দিন রাত চলছে প্রচারণা। মাইকিং, পোষ্টার ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থী ও প্রার্থী সমর্থকদের জনসংযোগ। বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার গুয়ারেখা ইউপি নির্বাচন নিয়ে জনগণ ও প্রার্থীর ভাবনা।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন শতভাগ শিক্ষিত এক অঞ্চল। প্রায় ১১ হাজার ভোটারের অর্ধেকের থেকে ২৫০ ভোট মুসলিমদের বেশি। এখানে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সু সম্পর্ক বজায় রয়েছে সবসময়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কখনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি কখনো।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন মোট ৬ জন। যথাক্রমে, আব্দুর রব সিকদার ( বীর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার) চশমা প্রতীক। শ্রী সুব্রত ঠাকুর (রানিং চেয়ারম্যান) নৌকা প্রতীক। আব্দুল কুদ্দুস সিকদার (সাবেক চেয়ারম্যান) আনারস প্রতীক। মো. জাকির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক)। বিজন ব্যাপারী (সাইকেল প্রতীক) ও রফিকুল ইসলাম (রজনীগন্ধা প্রতীক)।
প্রার্থী বিশ্লেষণে গুয়ারেখা ইউনিয়নে এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে দ্বিমুখী। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার ও বর্তমান চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুরের মধ্যে। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় যথেষ্ট এগিয়ে আছেন চশমা প্রতীক আব্দুর রব সিকদার। এলাকার যুবক শ্রেণী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সমর্থিত বড় একটা অংশের সমর্থন তার রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা সমর্থিত সুব্রত ঠাকুর বিগত দুই বার চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করলেও কার্যত ইউনিয়নে চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে পারে নি। ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের সাথে তার যোগাযোগ শিথিল হয়ে পড়েছে। এলাকার জনগণ এবং পরিষদ একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার আব্দুর রব সিকদার তার স্বভাব সূলভ সদালাপী হওয়ায় পূর্ব থেকেই ইউনিয়নের সবার সাথে একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। এলাকার মানুষের বিপদে আপদে সর্বদাই হাত বাড়িয়ে থাকেন। বিশেষ করে হিন্দু সমাজের লোকদের কাছে তার একটা ভালো ইমেজ রয়েছে। তাছাড়া ইউনিয়নের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়।
এ ব্যাপারে চশমা প্রতীক প্রার্থী আব্দুর রব সিকদার বলেন, আমি পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ইনশাআল্লাহ ইউনিয়নের আনাচে-কানাচের রূপ বদলে দিব। ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজে আত্মনিয়োগ করব। ইউনিয়নের পশ্চিম ও দক্ষিনাঞ্চলের অবহেলিত রাস্তাঘাট ও নীঁচু রাস্তাগুলোকে উঁচু ও পাকা সড়কে পরিনত করব। বৃষ্টিতে বা জোয়ারে ইউনিয়নের কোথাও জলাবদ্ধতা থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি করা হবে।


বিজ্ঞাপন
👁️ 8 News Views