খুলনায় নির্মাণ করেছেন বহুতল বাড়ী : ওসি বোরহান উল ইসলামের হাতে আলাদীনের চেরাগ !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মাগুরা প্রতিনিধি :  মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে গত ২ বছরে ১০ কোটি কামিয়ে খুলনা খালিশপুরে ডাকবাংলার মোড়ে ২৭৭/১ নম্বর হোল্ডিং এ ৯ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন ওসি বোরহান উল ইসলাম। প্রতি সপ্তাহে মহম্মদপুর ইসলামী ব্যাংক শাখার মাধ্যমে ৭ লাখ করে টাকা পাঠাতেন বাড়ি নির্মাণের সময়। বাগেরহাটে কিনেছেন প্রায় ৩০ বিঘা জমি। এই জমির মুল্য কয়েক কোটি টাকা। পরিবারের ব্যবহারের জন্য কিনেছেন লেটেষ্ট মডেলের গাড়ি, যার মুল্য দেড় কোটি টাকা।


বিজ্ঞাপন

খুলনার বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, শ্যালক, শশুর -শাশুড়ীসহ  নিকট আত্মীয়দের নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর। ভাই বোনদের নামেও আছে প্রচুর সম্পদ। ইদানিং তিনি বিভিন্ন ব্যবসাতেও টাকা লগ্নি করেছেন। প্রশ্ন হলো এতো টাকা তিনি পেলেন কোথায়। পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর মাসে কত টাকা বেতন পান? তার হাতে কি আলাদীনের যাদুর চেরাগ আছে?
ওসি মো: বোরহানুল ইসলামের বাড়ী খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায়। খুলনার খালিসপুরে ৯ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ী করেছেন ইদানীং । ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময় অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। তার সে সব অপরাধ উপাখ্যান নিয়েই আমাদের এই সরেজমিন প্রতিবেদন।

ওসি বোরহান উল ইসলামের অপরাধের খতিয়ান : অনুসন্ধানকালে জানা যায়, তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসহ অপরাধীদেরকে থানায় ধরে আনার পর দেন দরবার করে মাথা পিছু ৩০/৫০/৭০ হাজার টাকা হারে ঘুস নিয়ে ছেড়ে দিতেন। এ ছাড়া গোটা উপজেলায় জুয়ার আসর পরিচালনার মৌখিক অনুমতি দিয়ে মাসোহারা আদায় করতেন। অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে তাদের কাছ থেকেও মাসিক মাসোহারা আদায় করতেন। এভাবে গোটা মহম্মদপুর উপজেলাকে তিনি অপরাধকর্মকান্ডের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন।


বিজ্ঞাপন

সরেজমিন অনুসন্ধানকালে জানা যায়,গত ২০/০১/২৪ তারিখে (০১) রকিব (৩৫), পিতা আলতাফ মোল্লা, সাং তেলিপুকুর (০২) হাফিজ, পিতা-আবুল কাশেম মোল্লা, সাং মৌশাকে গাজাসহ এ এস আই আজিবর থানায় ধরে নিয়ে আসেন। রাত ৩ টার সময় ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেন ওসি বোরহান।


বিজ্ঞাপন

গত ২৫/১২/২৩ তারিখে বিকাল ৩ টার সময় মো: মোস্তফা শেখ (৬৫), পিতা-মৃত হারুন শেখ, গ্রাম জাঙ্গালিয়াকে এ এস আই কামরুল হাসান ইয়াবাসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাত ১২ টার সময় ১৮০০০ টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় ওসি বোরহান উল ইসলাম।

গত ৩০/১০/২৩ তারিখে হাফেজ মফিদুল (৪৪), পিতা মাওলানা ইমারত হোসেন, সাং বালিদিয়া মোবাইল নং ০১৭৮৮-৬৮৬৮৬৫ কে জামাতকর্মী হিসেবে রাত সাড়ে  ১১ টায় টার সময় ধরে নিয়ে আসা হয়। দেন দরবার করে মামলায় চালান না দিয়ে ১৫১ ধারায় চালান করে দেন।

গত ৮/১১/২৩ তারিখে এ এস আই ফারুক ডাঙ্গাপাড়া বাজারের চায়ের দোকানদার মানিক (৩০), পিতা-মৃত ওলিয়ার মোল্লার দোকানে যায়। তার দোকানে তল্লাশি চালিয়ে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত কাঠের গুড়ি হতে অল্প পরিমানে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওসি বোরহান সাহেব স্থানীয় সাবেক সাহাবুল মেম্বরের মধ্যস্থতায় ৫০০০ টাকায় রফাদফা করেন।

গত ৯/১১/২৩ তারিখে (০১) হেলাল (২২), পিতা-গফফার, (০২) ইব্রাহিম (২৩), পিতা-মাহানুর, উভয় সাং-মহিমানগর, থানা মহম্মদপুরকে রাত ৭ টার সময় থানায় এনে রাত ৩ টার সময় ওসি বোরহান উল ইসলাম ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন।

গত ১০/১১/২৩ তারিখে (০১) জালাল (৩৯), পিতা-মন্টু, সাং ধোয়াইলকে বিকাল ৫ টায় গাঁজা বিক্রির সময় হাতেনাতে আটকের পর থানায় নিয়ে আসেন। ওসি বোরহান ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে রাত ১ টার সময় তাকে ছেড়ে দেন।

গত ১২/১১/২৩ তারিখে আশরাফ (৩৫), পিতা- ছাত্তার মোল্লা, সাং হরেকৃষ্ণপুরকে গরু চুরির সন্দেহে এ এস আই আজিবর থানায় ধরে আনেন। পরের দিন সকালে তাকে ৯০০০  টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তার মোবাইল নস্বর ০১৯৬৩-২৫৭৫২৯।

গত ০১/১২/২৪ তারিখে শহিদুল, বাড়ি মধুখালি থানা, থানা পুলিশ মেয়েসহ রাতে থানায় ধরে নিয়ে আসেন এবং তাদেরকে নারী ও শিশু ডেস্কে রাখেন । পরবর্তীতে সাগরের মধ্যস্থতায় সকালে ৩০,০০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় ওসি বোরহান উল ইসলাম।

গত ২০/১১/২৩ তারিখে আনুমানিক রাত ১১ টায়  পলাশবাড়িয়া ইউপির ভবানীপুর গ্রাম ও মান্দার বাড়িয়া গ্রামের মধ্যবর্তী মেহগণি বাগানে জুয়া খেলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে এ এস আই ফারুক রেইড দেন। তখন কাবুল, পিতা ময়নুদ্দিন, সাং-হরেকৃষ্ণপুর নামক জুয়াড়ির ব্যবহৃত মোটর সাইকেল চালক রওশন, পিতা-কদর, সাং-তেলিপুকুরকে আটক করে তার কাছে থাকা টাকা নেন এবং জুয়া খেলার আসরে রেইড দিয়ে কয়েকজনকে ছেড়ে দেন।

পরবর্তীতে জুয়াড়ী কাবুলের এর চাচাত ভাই আলম (হরেকৃষ্ণপুর বাজারে মুদি দোকানদার) রওশনকে পুলিশের সোর্স মনে করে তার কাছ থেকে এ এস আই ফারুকের নেওয়া টাকা ফেরত চায় এবং বিভিন্ন রকম হুমকি দেন। তখন রওশন এ এস আই ফারুককে বললে জুয়াড়ি কাবুলকে পুনরায় ২২/১১/২৩ তারিখ রাতে ১২ টার পরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং নাশকতা মামলায় চালান দিবে বলে প্রচার চালান। মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওসি বোরহানের মধ্যস্থতায় পরের দিন সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

গত ২৯/১০/২৩ তারিখে মো: আব্দুল্লাহ (২৮), পিতা-শফিল উদ্দিন ঘটক, গ্রাম-শ্যামনগর (শ্যামনগর মোড় চায়ের দোকান) কে এস আই ওহিদ ইয়াবাসহ থানায় ধরে নিয়ে আসেন। মাত্র ১৭০০০ টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেন ওসি বোরহান।

গত ০৪/১১/২৩ তারিখে সন্ধ্যার সময় (০১) নাবিল (২৩), পিতা-জুবায়ের, সাং-জাঙ্গালিয়া (০২) সাবু (২৫), পিতা-দিলু মিয়া, সাং-কালিশংকরপুরকে গাঁজাসহ আটক করে থানায় আনা হয়। ঐ দিন গভীর রাতে কালিশংকরপুরের এনায়েতের মধ্যস্থতায় ৩০,০০০  টাকার বিনিময়ে অপরাধীদেরকে ছেড়ে দেন ওসি বোরহান উল ইসলাম।

গত ১৬/০১/২৪ তারিখে এ এস আই আজিবর (০১) আশরাফুল (২৩),পিতা-মো: আতর মোল্লা, সাং তল্লাবাড়িয়া (০২) মো: নারিন ফকির (১৬), পিতা মো: আরজান ফকির (০৩) জুবায়ের মোল্লা, পিতা মতিয়ার মোল্লাকে গাঁজাসহ (০৪) মো: ইমামুল, পিতা সিদ্দিক মোল্লাকে ধৃত করে থানায় নিয়ে আসেন। ২৭০০০ টাকার বিনিময়ে ওসি বোরহান তাদের ছেড়ে দেন।

গত ১৮/০১/২৪ তারিখে আরশাদ(৩৪), পিতা সাত্তার মোল্লা , সাং হরেকৃষ্ণপুরকে এ এস আই আজিবর গরু চোর সন্দেহে বাসা থেকে ধরে থানায় আনলে ওসি বোরহান উল ইসলাম মাত্র ৯,০০০ টাকার বিনিময়ে তাকে রাত ১ টার সময় ছেড়ে দেন।

গত ০৪/০১/২৪ তারিখে জসিম (২৮), পিতা-লাল মিয়া, সাং দরিশালদা (০২) মেহেদী (২৭), পিতা মুন্নু মৃধা, সাং নহাটাকে ৫ পিচ ইয়াবাসহ ধরে থানায় আনার পর রাত ৩ টার ওসি বোরহান তাদের কাছ থেকে ১৮০০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

গত ২৭/১২/২৩ তারিখে (০১) ওহিদ (৩৮), পিতা-রফিক মোল্লা, সাং দীঘা (০২) ইব্রাহিম (২৭), পিতা-নজরুল ইসলাম, সাং দীঘা (০৩) সাগর(২৫), পিতা-আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং দীঘাকে থানায় ধরে আনার পর ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঐদিন রাত ৩ টার সময় ছেড়ে দেন ওসি বোরহান।

নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক রানাকে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মহম্মদপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর রাত ০২ টার সময় ওসি বোরহানকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তার মা ও বোন এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

নীল কালারের একটি চোরাই মোটর সাইকেল (প্লাটিনা ব্রান্ডের) থানায় ধরে এনেছিলেন এ এস আই আজিবর। সেখান থেকে বের করে ওসি তার সোর্স/আর্দালি/ফুট ফরমাশ খাটা রবিউলকে দিয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। থানার পাশে দুপুড়িয়া গ্রামে বাড়ি এই রবিউলের। এই গাড়ির জিডি এন্ট্রি দেন নাই কিংবা জব্দ তালিকাও করে নাই।

মহম্মদপুর থানার ড্রাইভার কনস্টেবল খালেককে একটি চোরাই ডিসকভারি ব্রান্ডের মোটর সাইকেল দিয়েছেন ওসি বোরহান উল ইসলাম। বিনিময়ে নিয়েছেন ২৫ হাজার টাকা।উপজেলার গাজীর মোড় বাজারের একটি ঘরের বিষয়ে থানায় সালিশ করে যশোবন্তপুর গ্রামের জিয়া মুন্সির কাছ থেকে ওসি বোরহান ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

মাস তিনেক আগের ঘটনা। বিবাদী ছিলেন সাহেব মুন্সি।
গত ১৯/০৩/২৪ তারিখে (০১) আমিনুর (২৫), পিতা-আকরাম, সাং যশোবন্তপুর, থানা মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরা (০২) শোয়েব, পিতা আলামিন শেখ, সাং পলাশবাড়িয়া, থানা মহম্মদপুর, জেলা মাগুরাকে এ এস আই ফারুক যশোবন্তপুর থেকে ধরে থানায় আনার পর রাত সাড়ে ৯ টার সময় এদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৬০০০ টাকা এবং ৩৫০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন ওসি বোরহান উল ইসলাম।

জুয়ার আসর বসিয়ে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় : নহাটা ইউনিয়নে ওসি বোরহান এর নির্দেশে এ এস আই রুপক প্রতিমাসে জুয়ার কোর্ট পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে ৩৫,০০০/- টাকা নিয়ে পৌঁছে দিতেন ওসি বোরহানকে। কিছু দিন আগে জুয়ার আসর থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেন । পরে নহাটার তুরাপ চেয়ারম্যানের তদবীরে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওসি তাদেরকে ছেড়ে দেন।

মাগুরা মহম্মদপুর থানাধীন পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের রোনগর গ্রামের শাহারুল ও শাহিন, যশোবন্তপুর গ্রামের রবিউল,কালিশংকরপুর গ্রামের চুন্নু, হাবিব,রবিউল,নান্নু এরা সবাই জুয়া বোর্ড বসায়। এদের কাছ থেকে ওসি বোরহান এর নির্দেশক্রমে মহম্মদপুর থানার এ এস আই কামরুল প্রতিমাসে মাসোহারা আদায় করেন। রোনগর গ্রামের শাহারুল, শাহিন, ওহিদ এর কাছ থেকে প্রতিমাসে ৩০,০০০ টাকা, কালিশংকরপুর গ্রামের চুন্নু, হাবিব,রবিউল ও নান্নুদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০,০০০/- টাকা আর যশোবন্তপুর গ্রামের মেম্বার চুন্নু ও রবিউল এর কাছ থেকে জুয়ার বোর্ড চালনার বিনিময়ে প্রতিমাসে ৩০,০০০/- টাকা মাসোহারা নিতেন ওসি বোরহান উল ইসলাম ।

ওসি বোরহানের কারণে মহম্মদপুর উপজেলায় মাদক, জুয়া,নর্তকী নাচ এবং মারামারি ব্যপকতা লাভ করে। বিভিন্ন সময়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ আছে ওসি বোরহানের বিরুদ্ধে। জেলার বসকে (এসপিকে) টাকা দিতে হবে বলে অপরাধীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ার নিতেন ওসি বোরহান।

অবশেষে ওসি বোরহান ক্লোজ : সীমাহীন দুর্নীতি, গ্রেফতার বাণিজ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় ও আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বোরহানুল ইসলামকে গত ১লা আগষ্ট ২০২৪ তারিখে মাগুরা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তদস্থলে নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ঠাকুর দাশ মন্ডলকে পদায়ন করা হয়েছে। মাগুরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সুত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসীর বক্তব্য ও দাবী : এ প্রতিবেদক মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানকালে এলাকাবাসী জানান, ওসি বোরহান উল ইসলাম আপদমস্তক একজন ঘুসখোর কর্মকর্তা। টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না। তার কাছে মানবিকতা বলে কিছু নেই। গ্রেফতার বাণিজ্য করে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি মাসোহারার বিনিময়ে লালন পালন করতেন। ফলে গোটা উপজেলায় মাদকে সয়লাব হয়েগেছে। যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছেন। এ ছাড়া কত নারীর (গৃহবধূর) যে সর্বনাশ করেছেন তার কোন হিসাব নেই। তাকে বদলী করায় গোটা উপজেলাবাসী মাগুরা পুলিশ সুপার মো: মশিউদ্দৌলা রেজাকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হাট বাজারগুলোতে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে তারা এই দুর্নীতিবাজ ওসি মো: বোরহান উল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। তিনি অবৈধ পথে যে সম্পদ ( বাড়ী ,গাড়ী ব্যাংক ব্যালেন্স) অর্জন করেছেন সেগুলো দুদকের মাধ্যমে সরকারের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করার দাবী জানিয়েছেন। তাকে যেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুতি করা হয় সেই দাবীও জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,আইজিপি,ডিআইজি- খুলনা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে।

👁️ 2 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *