নড়াইলে স্ত্রী সন্তানদের ভরণপোষণ না দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনসহ যৌতুক না দিলে দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি, আদালতে মামলা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নড়াইল প্রতিনিধি :  নড়াইলের লোহাগড়া থানার লোহাগড়া ফয়েজ মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন ভুক্তভোগী ফ্লোরা ইয়াসমিন,ছেলে মেয়ে দুজনেই লেখা পড়ায় মেধাবী। ভুক্তভোগী ফ্লোরা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন,একজন স্বামীর কর্তব্য তার স্ত্রী সন্তানকে ভালো রাখা,তাদের দেখভাল করে ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করা। তবে তিনি এগুলা না করে বাইরে বাইরে থাকে সব সময়। আমার ছেলে একজন মেধাবি ছাত্র,কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে,ছেলেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করবে না,পড়ালেখার খরচ দিবে না,ছেলে মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত।


বিজ্ঞাপন

মাসে ৫-৭ দিনের জন্য বাসায় আসলেও দিন রাত মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে ভারতীয় মহিলাদের সাথে কথা বলে,কার সাথে কথা বলছে জানতে চাইলেই আমাকে মারধরসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

অসহায় স্ত্রী ফ্লোরা ইয়াসমিন বিচার পেতে আদালতে মামলা করেন,মামলা নং সি আর ৮৩/২৫ লোহাগড়া নড়াইল। মামলা সুত্রে জানা যায়,সৈয়দ খাইরুল আলম বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ফ্লোরা ইয়াসমিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন দির্ঘদিন ধরে এবং বাবার বাড়ি থেকে চাল ডাল এনে ও নিজে টিউশনি করে সংসার চালান এবং ছেলে মেয়ের পড়া লেখার খরচ চালান। সৈয়দ খাইরুল আলম প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে মারধর করেন,এবং ছেলে ঠেকাতে আসলে ছেলেকেও মারধোর করে এবং বাবার বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ টাকা না এনে দিলে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন বলে স্ত্রী ফ্লোরা ইয়াসমিনকে হুমকি দেন,স্বামী সৈয়দ খাইরুল আলম।


বিজ্ঞাপন

ফ্লোরা ইয়াসমিন অভিযোগ করে আরো বলেন,আমার স্বামী সৈয়দ খাইরুল আলম,দীর্ঘদিন ধরে মানবিক কাজের সাথে জড়িত ধাকলেও প্রতিনিয়তই জেলার বাইরেসহ মাসে দুই তিনবার দেশের বাইরে ইন্ডিয়ায় যাতায়াত করেন,কি কারনে তিনি ইন্ডিয়ায় যাতায়াত করেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি ইন্ডিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়ায় এবং ইন্ডিয়া থেকে এক মহিলাকে এনে তার কাছে আমাদের মিথ্যা তথ্য দিতে বাদ্ধ করে,যেটা আমি বলতে শিকার না হওয়ায় আমাকে মারধোর করে। আমার স্বামী সৈয়দ খাইরুল আলম ইন্ডিয়ায় পাচার হওয়া মেয়েদের উদ্ধার করার কথা বলে, ইন্ডিয়ার লোকদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ পাচার হওয়া মেয়েদের পরিবারের সদস্যদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়,তা না হলে আমার স্বামী সৈয়দ খাইরুল আলম কি ভাবে প্রতিনিয়ত জেলার বাইরেসহ দেশের বাইরে ইন্ডিয়া যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত বলেও অভিযোগ করেন।

এদিকে,সৈয়দ খাইরুল আলমের বাসায় গিয়ে দেখা যায়,মানব পাচারসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে তিনি পেয়েছেন, সম্মাননা স্মারক। এবিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ খাইরুল আলমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন বিষয় অর্শ্বিকার না করে বলেন,এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই,মামলা হয়েছে হোক।

👁️ 25 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *