ব্যারিষ্টার মনির হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : যখন একজন মানুষ কোনো দলীয় পদ, ক্ষমতা বা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য এগিয়ে আসেননি—বরং মানুষের পাশে থেকে নীরবভাবে সেবা দিয়ে গেছেন, তখন তাকে নিয়ে কটূক্তি বা অপবাদ দেওয়া গভীর দুঃখজনক।
ব্যারিস্টার মনির হোসেইন কখনোই কাউকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেননি। বরং তিনি ও তাঁর প্রতিষ্ঠান আলহাজ নুর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতাল এর পক্ষ থেকে গত কয়েক বছরে অব্যাহতভাবে মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০০টির বেশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন।
হাসপাতালে ১০০০-এর বেশি গর্ভবতী নারীকে ফ্রি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়েছে।

৫০টির বেশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে।
অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ বহন করেছেন, এবং পরিবার-পরিজন—ভাই, বোন, তাদের সন্তান-সন্ততি থেকে শুরু করে নাতি-নাতনিদের প্রতিও তিনি দায়িত্বশীল থেকেছেন।
২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে আলহাজ নুর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতাল -এর উদ্বোধনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; সেই অনুষ্ঠানে এমপি ও মেয়রকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল — এটি সাধারণ রাজনীতিক নিয়মাবলীর অংশ, নৈতিক দোষ নয়।
কোনো প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন বা সৌজন্য দর্শনে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা অপরাধ নয়; একজন প্রবাসী বা নাগরিক হিসেবে অনুষ্ঠান সফল করতে তিনি আমন্ত্রণ জানাতে পারেনই।
যাঁরা বলে ছবি তুলেছে মানে দল বদল বা রাজনৈতিক বন্ধুত্ব — তাঁদের অধিকাংশের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক আড়াল করে ব্যক্তিগত লাভ বা প্রভাব অর্জন করা; তাহলেই কেবলই এ রকম কু-প্রচারণা করে।
বাস্তবতা হলো—যাঁরা এসব অভিযোগ তোলেন, তাঁদের অনেকেই রাজনীতির নামে ভুল পথে আয়-রোজগারের চেষ্টা করেন। একজন মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্য যখন মানবসেবা, তখন এসব কু-প্রচার সত্যকে ঢাকতে পারে না। আমরা বিশ্বাস করি—জনগণ সব জানে, আর জনসেবককে জনগণই চিনে নেয়।