
নিজস্ব প্রতিবেদক : উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে বাংলালিংক। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্ল্যাফশিপ মাইবিএল অ্যাপকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে নতুনভাবে সাজিয়েছে। এর ফলে, অ্যাপটির বাবহারকারীরা এখন থেকে আরও সমৃদ্ধ মোবাইল সেলফ-কেয়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন। আপডেট করা অ্যাপটি এখন আরও স্মার্ট। এর চমৎকার ইন্টারফেসের কারণে ব্যবহারকারীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যে সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

অ্যাপটির হালনাগাদ করা সংস্করণ বাংলালিংকের ‘ডিজিটাল-ফার্স্ট’ কৌশলের প্রতিফলন ঘটেছে। অ্যাপটিতে ২০টির বেশি প্রয়োজনীয় ‘সেলফ-সার্ভিস’ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে; যেমন: সিম ব্যবস্থাপনা, প্যাক নবায়ন, ভিওএলটিই সক্রিয় করা এবং পেগো, ডু নট ডিস্টার ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভিএএস) অপশন। নতুনভাবে ডিজাইন করা অ্যাপের ইন্টারফেসে এখন আরও সহজে নেভিগেশন করা যাবে। এখন ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সহজেই মোবাইল সেবা ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করতে পারেন।
এআই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে, গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগকে আরও স্মার্ট ও দ্রুত করতে মাইবিএল অ্যাপে এর আগে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দু’টি সেবা চালু করে বাংলালিংক। এর মধ্যে এআই প্রযুক্তিভিত্তিক কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা জানানোর ও সমাধান গ্রহণ করতে পারেন; যেখানে ব্যবহারকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্যার সমাধান নিয়ে অগ্রগতি সরাসরি অ্যাপের মধ্যেই দেখা যায়। অন্যদিকে, এআই কাস্টমার কেয়ার চ্যাটবটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টের তথ্য, অফার বা ট্রাবলশুটিং এসব বিষয়ে রিয়েল-টাইমে সহায়তা নিতে পারেন।

পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য মাইবিএল অ্যাপে আরও কিছু সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে; যেমন: স্মার্ট প্যাক সাজেশন, দ্রুত ই-বিল ডাউনলোড এবং সিকিউরিটি ডিপোজিট বৃদ্ধির অনুরোধ। এতে অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হয়েছে এবং গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তি বিশেষায়িত সেবার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ নিষয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “উন্নত মাইবিএল অ্যাপ আমাদের গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ধারাবাহিক যাত্রারই অংশ। তিনি আরও বলেন,
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেক বাংলালিংক ব্যবহারকারীর জন্য ডিজিটাল সেলফ-কেয়ারকে আরও সহজ, স্মার্ট করে তোলা, যা তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা কেবল সুবিধা পাওয়া মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা মোবাইল ব্যবহারে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ উপভোগ করবেন কানেক্টেড থাকতে পারবেন, সহজে সেবা ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন এবং স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
একক প্ল্যাটফর্মে উদ্ভাবন, সেবা সহজ করা ও সবার জন্য সেবার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলালিংক আরও দ্রুত, স্মার্ট ও ব্যক্তি বিশেষায়িত উপায়ে গ্রাহক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। এখন গ্রাহকেরা নিজেরাই নিজেদের ডিজিটাল জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন। আমাদের ডি৪১৪৪০ লক্ষ্যের মাধ্যমে আমরা চাই প্রতিটি মানুষের জন্য ডিজিটাল ক্ষমতায়নের সুযোগ উন্মোচন করতে। এ উদ্যোগ আমাদের সে লক্ষ্যেরই প্রতিফলন।”
এই উদ্যোগ দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থান এবং দেশের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
