অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে যে পাঁচ বিষয় জানা জরুরি!

Uncategorized অর্থনীতি কর্পোরেট সংবাদ জাতীয় ঢাকা বানিজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  অ্যাপার্টমেন্ট কেনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত! আপনার স্বপ্নেরগ বাড়িকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত বিনিয়োগে পরিণত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে নজর দিতে হবে এবং এর সুরক্ষা ও আইনি দিকগুলোতে গভীরভাবে মনোযোগ দিতে হবে। মার্কেটিংয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।


বিজ্ঞাপন

এখানে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা কিনা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে জানা প্রয়োজন।

কাঠামোগত নিরাপত্তা :  নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কখনো অনুমান-নির্ভর হবেন না। বিশেষ করে, একটি ভবনের ভিত্তির ওপরেই এর নিরাপত্তা নির্ভর করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) নিয়ম অনুযায়ী সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন এবং কলাম–বিম রিইনফোর্সমেন্ট ডিটেইলস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। বিশেষত, এগুলো ভূমিকম্পের সময় দালানের প্রধান প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আপনার পরিবারের নিরাপত্তা এই কাঠামোর ওপরেই নির্ভরশীল।


বিজ্ঞাপন

আইনি অনুমোদন : নিশ্চিত করুন যে ডেভেলপারের কাছে রাজউক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত ও অনুমোদিত নকশা রয়েছে। এই অনুমোদিত নকশার সাথে তৈরি হওয়া কাঠামোটি মিলিয়ে দেখুন, বিশেষ করে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) এবং আলো–বাতাস চলাচল ও অগ্নিনিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যতামূলক খোলা জায়গাগুলো রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখুন। সঠিক নকশাই অ্যাপার্টমেন্টের ঝামেলাহীন ব্যবহার নিশ্চিত করে।
সম্পত্তির ডকুমেন্ট যাচাই  : বিনিয়োগের জন্য নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রয়োজন। ভূমি তফসিল, মূল দলিল ও নামজারির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো ডেভেলপারের মালিকানায় রয়েছে কিনা এবং সম্পত্তির মালিকানার বৈধতা নিষ্কন্টক কিনা, তা যাচাই করে দেখুন। পরিচ্ছন্ন কাগজপত্র রয়েছে মানেই ওই সম্পত্তিতে বিনিয়োগ নিরাপদ।


বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞের মূল্যায়ন :  এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেনাকাটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, একজন স্বতন্ত্র সার্টিফাইড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বা বিশেষজ্ঞের সহায়তায় সম্পত্তির টেকনিক্যাল অডিট করিয়ে নিন। একজন সাধারণ মানুষের কাছে যে ত্রুটিগুলো অদৃশ্য থাকে, তা পেশাদার কারও চোখে খুব সহজেই ধরা পড়বে। এক্ষেত্রে ভবনে সত্যিই কোনো ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা বোঝা সম্ভব হবে। সঠিক মূল্যায়নে অদৃশ্য ঝুঁকিও ধরা পড়ে।

নির্মাণের গুণগতমান : নৈতিক ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড মেনে চলে এমন কোনো ডেভেলপারকে বেছে নিতে পারেন। মানসম্মত উপকরণ, নিয়ম মেনে নির্মাণ ও বিশেষজ্ঞ তদারকি নিশ্চিত করুন। যেমন বলা যায়, গুলশান লেক–ড্রাইভের আয়েশা নুরুল লেক সেরেনিটির মতো নান্দনিক ও আধুনিক প্রকল্পগুলোতে নির্মাণের গুণগতমান এবং রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে, ইউনিমাস হোল্ডিংস লিমিটেডের মতো বিশেষায়িত ও নির্ভরযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অ্যাপার্টমেন্টের গুণগতমানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি, বিনিয়োগের সুরক্ষা এবং নিরাপদ স্বপ্নের বাড়ি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

👁️ 38 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *