
নিজস্ব প্রতিবেদক : “বাংলাদেশ আমার অহংকার”- এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র্যাব সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সদা সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল বুধবার ১৭ ডিসেম্বর র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল দারুস সালাম থানাধীন “এসআরএম ওভারসিস লিমিটেড” নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে এবং রাশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের এজেন্সির মাধ্যমে সকল চুক্তি সম্পন্ন করলেও প্রকৃত পক্ষে অন্য একটি এজেন্সির ব্যানারে আর্ন্তজাতিক মানব পাচার চক্রের সাথে হাত মিলায়। তারা ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্কষনীয় বেতনে রাশিয়াতে কাজ দেওয়ার নাম করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং গ্রাম থেকে যুবকদের বাছাই করে।

এরপর তাদের কাছ থেকে ভিসা মারফতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের চাহিদাকৃত টাকা প্রাপ্তির পর ভিকটিমদের তারা রাশিয়ায় পাঠায় এবং চুক্তি ভঙ্গ করে অতিরিক্ত কর্মঘন্টায় কাজ করার জন্য জোর আরোপ করে। তারা রাশিয়ান কোম্পানি থেকে প্রাপ্য মাসিক বেতন থেকে ভিকটিমদের টাকা কেটে নেয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিম তাদের ন্যায্য পাওনা দাবি করলে তাদেরকে জোরপূর্বক রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে প্রেরণের হুমকি দেয়। ভিকটিম মারফত আরো জানা যায় যে, পূর্বে উক্ত চক্রের মাধ্যমে প্রেরণকৃত বাংলাদেশীদের মধ্যহতে চারজন বাংলাদেশীকে যুদ্ধে প্রেরণ করে এবং তারা মারা যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার সূত্র ধরে উক্ত ঘটনার মূল হোতা রুবায়াত সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা প্রায় আট বছরের অধিক সময় ধরে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশীদের রাশিয়া প্রেরণ করেছে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরী করে যাতে ভিকটিমদের বাংলাদেশে ফেরত আসা অথবা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
