চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি গণপরিবহন শ্রমিকরা

অপরাধ এইমাত্র রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতেও সড়ক পরিবহনে চলছে চাঁদাবাজি। রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্রের কাছে, জিম্মি পরিবহন শ্রমিকরা। চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে মালিক সমিতি আর শ্রমিক নেতারা বলছেন, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইতিমধ্যে সাংগঠনিকভাবে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
সংক্রমণের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করা আয়ের টাকা এভাবেই তুলে দিতে হচ্ছে চাঁদাবাজদের হাতে। রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজ চক্রের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা পরিবহন শ্রমিকরা।
মহামারির এমন সময়ে যানবাহনে নির্ধারিত পৌর করের বাইরেও চলছে বাড়তি টাকা আদায়। টাকা দিতে না পারলে ঘটছে শ্রমিকদের মারধর, হয়রানি আর নির্যাতনের ঘটনা।
পরিবহন শ্রমিকদের একজন বলেন, লাফ দিয়ে উঠে গাড়ির সিটটা নিয়ে গেছে। আমি গিয়ে বলছি তাই তর্ক বিতর্ক হইছে। গায়েও হাত দিছে।
আরেকজন বলেন, চাঁদা না দিলে গাড়ির মাল রেখে দেয়।
স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার গণপরিবহন থেকে প্রতি মাসে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হতো। মহামারির সময়েও সীমিত আাকারে চলছে চাঁদাবাজি। যদিও দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা।
ডিএনসিসি’র পরিবহন মহাব্যবস্থাপক আব্দুল লতিফ খান বলেন, চাঁদাবাজি বিষয়ে সবাই মনিটর করছে। আমরা কোনোরকম চাঁদাবাজ বরদাশত করি না।
ডিএনসিসি’র বাস টার্মিনাল ও পরিবহন ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা যদি হয়ে থাকে অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্থা নেই।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি নির্মূলে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে চাঁদাবাজি নির্মূল করতে সক্ষম হবো।
পরিহন খাতে এমন নৈরাজ্যের মধ্যেই মালিক সমিতি আর শ্রমিক নেতাদের দাবি, চাঁদাবাজি কমে যাওয়ার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ বলেন, পরিবহন সেক্টরের লোক আছে পরিবহনের বাইরের লোক আছে যারা এ পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি করে। বর্তমানে নাইনটি থেকে নাইনটি ফাইভ পারসেন্ট চাঁদাবাজি বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেল সভাপতি শাজাহান খান বলেন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি থাকবে না সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শুধুমাত্র চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত চাঁদা নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক চাঁদাবাজ।


বিজ্ঞাপন