রোহিঙ্গারা ভাসান চরে বেশ ভালো জীবনযাপন করছে

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : অনেক উন্নত দেশের শরণার্থীর তুলনায় রোহিঙ্গারা ভাসান চরে বেশ ভালো জীবনযাপন করছে। উন্নত বিশ্বের শরণার্থীরাও যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় না, সেসব সুবিধাও বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট যেসব রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তে ভিড় করেছিল, মানবিক কারণে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন

এভাবেই বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে বাংলাদেশে এসেছে। শুরুকে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, কুতুপালং সহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এসব রোহিঙ্গাদের নিরাপদ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শরণার্থীদের জন্য সম্প্রতি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি সিটি গড়ে তোলা হয়েছে ভাসান চরে। শরণার্থীদের সহায়তায় বিশ্বের বুকে এটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি নতুন আবাসস্থল ভাসান চরটি গুচ্ছগ্রাম আকারে সাজানো হয়েছে। মোট ১২০টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে আছে ১২টি ভবন এবং একটি করে সাইক্লোন সেন্টার। প্রতিটি ভবনে ১৬টি করে রুম আছে। এসব রুমের প্রত্যেকটায় চার জন করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষ ও নারীদের জন্য রয়েছে পৃথক বাথরুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা। পুরো এলাকাটির নিরাপত্তা সিসিটিভির আওতায় নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা কৃষিকাজ, মৎস্যচাষ এবং অন্য যেকোনও পেশা থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।


বিজ্ঞাপন

 

 

 

 

👁️ 9 News Views