নারী হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে অঝরে কাদঁছে পুরুষ

সারাদেশ

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইলে কোটি টাকা আন্তসাতের পর স্ত্রীর অমানুষিক নির্যাতন ও স্ত্রীর অত্যাচারে বিষ খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে স্বামী রাজু শেখ।
বৃহস্পতিবার সকালে মো:রাজু শেখ ঘরে ঢুকতে গেলে মেয়ে মৌশি ও স্ত্রী মুক্তা রাজুকে ঘরে ঢুকতে দেইনি এবং স্ত্রী মুক্তা রাজুকে বলে তুই আবারও বিদেশে চলে যা নাহলে তোকে মেরে ফেলবো এমন কথায় কষ্ট পেয়ে রাজু নড়াইল চৌরাস্তা নামক বাজার থেকে একটি কিটনাশকের বোতল নিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সামনে পান করে এবং মেয়ে ও স্ত্রী মুক্তা স্বামী রাজুর ঘাড় ধরে ধাক্কা সহ লাথি দিয়ে শিড়ির উপরে ফেলে দেয়,এক পর্যায়ে রাজু অচেতন অবস্থায় বমি করতে লাগে পরে আশে পাশের লোক জন রাজুকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন,এদিকে রাজু মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে হাসপাতালে।
জানাযায়,নড়াইলের লোহাগড়া থানার তালবাড়িয়া গ্রামের মো:রাজু শেখ দির্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়ে,দির্ঘদিনের কষ্টের উপার্যনের টাকা স্ত্রী সাদীকা আক্তার মুক্তা ও স্ত্রীর বাবা এস এম অমর আলীর ব্যাংক একাউন্টে এবং নগত টাকা তাদের দুজনের হাতে হাতে দিয়েছেন বিদেশ গামী জাত্রীগণ।
টাকার লোভে স্ত্রী ও বাবা এসএম অমর আলী টাকা মেরে খাওয়ার জন্য বিভিন্য ভাবে রাজু কে অপহরন সহ হামলা করানোর জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি ধামকী দিচ্ছেন।
নড়াইল সদর মহিশখোলা গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে গিয়াস,একই গ্রামের মিজান পেশকারের ছেলে দুক্ষু শেখ দির্ঘদিন ধরে বিভিন্য ভাবে হত্যার উদ্দেশে মো:রাজু শেখের উপরে হামলা ও অপহরনের চেষ্টা করে,এমন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান,রাজু শেখ।
রাজু শেখ আরো জানান,আমি বিদেশে যাওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রী মুক্তা একটি ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে এবং সেই ছেলের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আমি এমন অনৈতিক সম্পর্কের কথা যান্তে পারলে মুক্তা কোরআন শরিফ ছুয়ে কসম করে বলে আমি আর এমন ধরনের কাজ করবো না।
কিন্তু থেমে নেই অবৈধ সম্পর্ক,আমাকে মুক্তার প্রেমিক
নিরব খান জঁয় এবং জঁয় বাবু নামের একাধীক নাম করে ফেসবুক আইডি খুলে আমাকে কে হত্যার হুমকি সহ বিদেশে চলে যেতে হুমকী ধামকি দেন।
মুক্তার ছোট ভাই এসব বাবা ও বোনের চক্রান্তের কথা আমাকে বলে দিয়েছে বলে,মুক্তার বাবা এস এম অমর আলী ছেলে আসিব কে জেল খানায় দিয়ে দেন।
আমার কর্মফলে আজ আমি হাসপাতালে এমন অভিযোগ করে রাজু সাংবাদিককে জানান,আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার স্ত্রী সাদীকা আক্তার মুক্তা,সশুর এসএম অমর আলী,আমার মেয়ে মৌশি ও আমার স্ত্রীর বড় বোন বলেও জানান তিনি।
রাজু প্রবাসে থেকে দির্ঘদিন ভিষার ব্যাবসা করে যত টাকা উপার্যন করেছে সেই সব টাকা নিজের সার্থলোভী স্ত্রী সাদীকা আক্তার মুক্তার নামে ও মুক্তার বাবা এসএম অমর আলীর ব্যাংক একাউন্টে এবং যেসকল বিদেশি প্যাসেন্জাররা বিদেশে যাবেন বলে রাজুর স্ত্রী সাদীকা আক্তার মুক্তা হাতে হাতে নগত টাকা পরিষদ করেছেন।
এদিকে রাজুর বিষঁপান করার খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে একাধীক প্যাসেন্জারসহ আত্তীয় স্বজন”রা রাজুকে দেখতে ছুটে এসেছে নড়াইল সদর হাসপাতালে।
রাজু দেশে ফেরার পরে তার নিজ বাড়ি কম্পিলিট হয়নি কেন, রাজু তার স্ত্রী ও শশুরকে তার বাড়ি কেন কম্পিলিট হয়নি প্রশ্ন করলে তারা জানান,তোমার টাকা বিভিন্য ব্যাংকে ফিক্সট করে রেখেছি এবং বাকি টাকা লাভে করে দেয়া হয়েছে মানুষের কাছে এজন্য তোমার বাড়ি এখনো কম্পিলিট হয়নি।
রাজু তার উপার্যনের সকল টাকার হিসাব স্ত্রী ও তার বাবা এসএম অমর আলী কে দিতে বল্লে কাল হয়ে ওঠে তার উপার্যন কৃত টাকা,সুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা এবং অপহরনের কলাকৌশল।
এক পর্যায়ে স্ত্রী সাদীকা আক্তার মুক্তা ও বাবা এস এম অমর আলী সাদীকার নিজ ব্যাংক একাউন্টের ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক রাজুকে দেন, যে তোমার টাকা তুমি উঠিয়ে নাও কিন্তু রাজু ব্যাংকে চেক দিলে একাউন্টে টাকা না থাকার কারনে চেক ফিরিয়ে দেন।
একের পর এক ব্যাংকে টাকা না থাকার কারনে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী রাজু, এক পর্যায়ে রাজু ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলে চেকটি ডিজঅনার করান এবং চেক ডিজঅনার করার পরে নড়াইল কোর্টে একটি চেক জালীয়াতী মামলা হয় সাদীকা আক্তার মুক্তার নামে।
এর আগে, রাজু টাকার বিষয়ে স্ত্রীকে জানায় তুমি আমার টাকা দিয়ে এসব কেন করলে এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তা ও মেয়ে মৌশি রাজুর উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি মারধোর করে, পরে রাজুর আন্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রাজুকে মূমুর্ষ অবস্থায় নড়াই সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যাক্তি জানান, রাজু এমন কাজ কেন করলো এত বছরের কষ্টের টাকা কেউ বৌও ও শশুরের নামে দেয়।
রাজুর বৌও পরকীয়ায় আশক্ত হয়ে পড়েছে অনেক আগে থেকেই।
মুক্তার বাড়িতে অনেক বার মুক্তার পরকীয়ার প্রেমিক এসেছে আমরা দেখেছি এবং তার পরিচয় জানতে চাইলে মুক্তা বলে আমার আত্মীয় ঢাকা থেকে এসেছে বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন