অলি-গলি আর কাঁচাবাজারে ভিড়

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের তেমন আনাগোনা নেই। তবে কাঁচাবাজার, মাছের বাজার ও গলিতে গলিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, মিরপুর, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব গলির কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ প্রায় সব দোকান ছিল খোলা। মাঝে মাঝে গলিতে পুলিশের গাড়ি ঢুকলে দোকান বন্ধ করার তোড়জোড়ও দেখা গেছে। এসব গলিতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

তবে এবারের লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে।

কচুঁক্ষেত বাজারের মাংস বিক্রেতা পারভেজ বলেন, শুক্রবার আরো বেশি বেশি কাস্টমার হয়। তবে আজ একবারেই নেই বললেই চলে।

মাছ বিক্রেতা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শুক্রবার হওয়ায় মাছের বাজারে কাস্টমার বেশি। অন্য শুক্রবারে এর চেয়েও বেশি ভিড় থাকে। আর আজকে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই সেই তুলনায় ক্রেতা কম।

‘প্রতি কেজি রুই ২৮০ টাকায় ও কাতলা ৩৫০ টাকায় আর প্রতি কেজি মাগুর মাছ বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। প্রতি পিছ ইলিশ ১০০০ টাকায় ও জোড়া ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের এক-দুই জন ছাড়া কারো মুখে মাস্ক নেই। একইসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ীরাও মাস্ক ব্যবহার করছেন না। কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারে ভিড়ের মধ্যেই স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

প্রসঙ্গত, সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিনে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। বিভিন্ন সড়কে তৎপর ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে রাজধানীতে ৪৯৭ জনকে আটকও করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৮ জনকে আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে আটজনকে। বাকিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।