রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয় না

অর্থনীতি

আজকের দেশ রিপোর্ট : প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারের রেমিট্যান্স যোদ্ধা দেশের মাটিতে এদের মূল্যায়ন হয় না। যাদের টাকায় সবাই আরাম আয়েশ করেন তাদের কেউ মূল্যায়ন করে না, আর এরা এক কালার ডিসপ্লে মোবাইল দিয়ে কাটিয়ে দেয় বছরের পর বছর।
এরা সকাল ৫টায় কাজের জন্য বের হয়। আর আপনারা ঠিকই নাক ডেকে সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুমান। সকালের নাস্তা ভুলে গিয়ে পলিথিনের ব্যাগে করে খাবার নিয়ে যায়। আর আপনারা সাহেবের মত নাস্তা করেন ঠিকই খাবার টেবিলে বসে ভাত খান। ৫০+ ডিগ্রি রোদের মধ্যে কাজ করে বাহিরে,বিশ্রামের জন্য যাদের ঠাই হয় খেজুর গাছের নিচে বালুর মধ্যে। আর আপনারা ঠিকই এসি ফ্যান চালিয়ে আরামে বিশ্রাম করেন।
বিকেলে রুমে আসতে ৩শ গজ লম্বা লাইন ধরে গাড়িতে উঠার জন্য। আর আপনারা গাড়ি ভাড়া করে বাড়িতে আসেন।
সন্ধ্যায় কাজ শেষে রুমে গিয়ে হাত মুখ না ধুয়েও প্রথমে রান্নার কাজে ব্যাস্ত থাকে ৫০ ডিগ্রি গরমের মধ্য রান্নায় ঘরের মধ্যে আগুনের তাপে আরও ১০ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়া গরমে মধ্যে ঘামে গোসল করে। আর আপনারা ঠিকই রাতে টেবিলে গোছনো খাবার খেতে পছন্দ করেন। মৃতব্যয়ী হয়ে কষ্ট করে বাড়িতে টাকা পাঠায়। আর আপনারা বাবুগিরি করে টাকা উড়ান। সময় বেধে বাড়িতে কল দেয়,টাকা যাতে ব্যয় না হয়। আর আপনারা ঠিকই দিন রাত বেহুলা সুরে যে কারও সাথে
মোবাইলে কথা বলে যান।
একবার অসুস্থ হলে ডাক্তারের ভিজিট যাবে বাংলার ২ হাজার টাকা সাথে আরও কত টাকার ঔষধের চিন্তা করে আল্লাহর উপর ভরসা করে বসে থাকে। আর আপনার পেটে ব্যাথা হলে ঠিকই ভালো ডাক্তারের কাছে যান। যারা অতি কষ্টে দিন কাটালেও বাড়িতে কাউকে বুঝতে দেয়না,যে এরা কষ্টে আছে,মুখে মুচকি হাসি আর অন্তরে ব্যাথা নিয়ে থাকে সব সময়। আর আপনারা একবার ও কি বুঝার চেষ্টা করেন ? এদের মধ্যে হয়ত,কারও বাবা,চাচা,মামা,ভাই,বন্ধু থাকতে পারে,বুঝতে চেষ্টা করেন ? এরা কত সুখে আছে।তবু এরা আপনাদের সুখি রাখতে চায়।বাবা, মা, ভাই,বোন, সব কিছু ফেলে বিদশের মাটিতে দিনের পর দিন কষ্টে কাটিয়ে দেশে টাকা পাঠায়, এর রেমিট্যান্স যোদ্ধা এরা সরকারের অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করে অথচ দেশের মাটিতে এদের নেই যোগ্য সম্মান।


বিজ্ঞাপন