প্রীতিলতা চরিত্র যেন পরীমনি’র একটি অগ্নিপরিক্ষা

বিনোদন

পরীতে মুগ্ধ বিপ্লব সাহা


বিজ্ঞাপন

বিনোদন প্রতিবেদক : ঈদের আগের দিন অন্তর্জালে মুক্তি পায় রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’ ছবির পোস্টার। পোস্টারে ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণিকে নতুন করে আবিস্কার করলেন নেটাগরিকরা। হুট করে যেন সবাই ফিরে গেলেন গত শতাব্দীতে। পরীকে এ সময়ে এসে প্রীতিলতার মতো করে সাজিয়েছেন স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা।

পরীমনি জানান, যতটুকু মনে পড়ে ২০১৫ সালের কথা। ছোট ভাই মানে, সাংবাদিক রঞ্জু হঠাৎ একদিন ফোন করে প্রীতিলতা ছায়াছবিতে কস্টিউম নিয়ে কাজ করার কথা বলে আমাকে।

কিন্তু সেই সময় আমার ব্যক্তিগত কিছু ঝামেলা ও ব্যস্ততার কারণে রঞ্জু কে আমি আমার অপারগতা জানাই ।

সমকালের শৈলী পাতার কারণে রঞ্জুর সাথে আমার সম্পর্কটা অন্যরকম। তাই মানা করতে অনেক কষ্ট হয়েছিল সেই দিন । আর এখন ২০২১ সাল মাঝখানে কতগুলি বছর চলে গেছে।

আসলে এই ৫ বছরে আমি কোন কিছুই জানতাম না এই চলচ্চিত্রের ব্যাপারে। হঠাৎ ৪ দিন আগে রঞ্জু আমাকে ফোন করে প্রীতিলতা মুভির পোস্টার করার কথা বলে।

প্রায় দুই বছরে করোনা পরিস্থিতির লকডাউনের কারণে নানান বিষয় নিয়ে কোন কাজ ঠিক ভালোমতো করা হয়ে ওঠে না। যতটুকু করি মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

কারণ সৃষ্টিশীল যেকোন কাজে মানসিক প্রশান্তি টা খুব জরুরী। কিন্তু রঞ্জু সহ প্রীতিলতা টিম নাছোড়বান্দা কাজটা আমাকে করতেই হবে।

প্রীতিলতা এত সিরিয়াস একটা বিষয় যে আমি কোন ভাবেই নতুন করে কোন কাজের প্রেসার নিতে চাইছিলাম না। একদিকে প্রীতিলতা অন্যদিকে পরীমনি।

দুইজনের কাউকেই আমি জীবনে কোনদিন সামনে থেকে স্বচক্ষে দেখিনি। সে জন্য মন থেকে কোনো ভাবেই সায় দিচ্ছিল না এই কাজটি করার জন‍্য।

ঈদের আগে শেষ কয়টা দিন বিশ্বরঙে অনেক ব্যস্ততা থাকে। তারপর ১০০ বছর আগের গল্প। সাজ পোশাক এক্সপ্রেশন । অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হবে।

যাই হোক শেষ পর্যন্ত ফটোশুটের ডেট নির্দিষ্ট করা হলো। প্রীতিলতা টিম রেফারেন্স ছবিটি দিয়ে তাদের একটাই কথা ছবির মত হুবহু চাই।

মাত্র ২ দিনে ১০০ বছর আগের শাড়ি-ব্লাউজ গয়না কোথা থেকে জোগাড় করবো।

রঞ্জুর দাবি আমি চাইলে নাকি সবকিছুই পারি হা হা হা । অনেক কষ্ট করে সবকিছুই সংগ্রহ করা হলো।

যেহেতু আমি আমার দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি এবং শেষ ২৫ বছরে নানা রকমের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ক্যারেক্টার প্রেজেন্টেশনের জন্য অনেক কাজ করা হয়েছে। যার জন্য কাজটা করতে কিছুটা সহজ হয়েছে।

কিন্তু প্রীতিলতার মতো সাহসী শক্তিমান বলিষ্ঠ মুখমণ্ডলকে বর্তমান চলচ্চিত্রের সব চাইতে গ্ল্যামার মুখ পরীমনির মধ্য থেকে বের করে আনতে হবে এ যেন আরেক অগ্নিপরীক্ষা।

আমার যত সৃষ্টিশীল কাজ তার বেশিরভাগই আমি আমার নিজের ইচ্ছায় ও প্রয়োজনে করে থাকি। সেটার আনন্দের জায়গাটা ভিন্ন ।

এমনিতে নতুন প্রজন্মের কাউকে নিয়ে কাজ করতে কেন জানিনা খুব একটা আরাম বোধ করিনা।

সব সময় এক প্রকার শঙ্কা ও ভয় কাজ করে থাকে। কিন্তু মিরপুর পারসোনাতে পৌঁছানোর পর শেষ করা পর্যন্ত নতুন এক পরীমনি কে আবিষ্কার করেছি। একজন ডিরেক্টর হয়তো এমন শিল্পী খোঁজেন সব সময়। আমার সকল শঙ্কা ভয় আতঙ্ক দুশ্চিন্তা যেন দূর হয়ে গেল।

মুগ্ধ হয়েছি পারসোনা পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া আমার একার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না কাজটি ।ধন্যবাদ আবারো পারসোনা পরিবারকে ।

প্রীতিলতা টিমের প্রত্যেকটি মানুষের আন্তরিকতার , খুব সুন্দর একটা স্মৃতি রয়ে গেল প্রীতিলতার এই পোস্টারের সাথে। ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল প্রীতিলতা চলচ্চিত্রের জন্য, ধন্যবাদ সবাইকে।