চিকিৎসা খাতে ঢাকার ১৫ হাসপাতালে অনিয়মের অভিযোগ

অপরাধ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরঞ্জাম না পেয়েও বিল পরিশোধ এবং খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ কেনা- ঢাকার ১৫টি কোভিড হাসপাতালে এ রকম নানা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে অডিট বিভাগ। গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালানো অডিটে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে রাষ্ট্রের ৩০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এরইমধ্যে প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায়ীদের বিচারের আওতায় না আনার কারণে এ খাতের দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।
চিকিৎসা খাতের অনিয়ম বিষয়ে গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিরীক্ষা চালায় মহা হিসাব নিরীক্ষা কার্যালয়। ঢাকার ১৫টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের ওপর করা এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অনিয়মের নানা চিত্র।
পণ্য না পেয়ে বিল পরিশোধ, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া এমনকি চিকিৎসা উপকরণ উধাও হয়ে যাওয়ার ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে।
ঢাকা মেডিকেল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা, কুর্মিটোলা সোহরাওয়ার্দী ও সলিমুল্লাহ হাসপাতালেই বেশি অনিয়ম পেয়েছে নিরীক্ষা কমিটি। এতে রাষ্ট্রের ৩০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালকের দাবি তিনি ওই সময় হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন না। হয়নি কোনো অনিয়ম।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিগত পরিচালকের আমলে কিছু কিছু ওষুধ এমআরপির থেকেও বেশি দামে কেনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমার সেখানে দেখলাম যে ঠিক দামেই ওষুধ কেনা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যখাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়, এ অব্যবস্থাপনার জড়িত ওপর মহলের লোকেরা।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সেনাল বলেন, শুধু স্থানীয় ব্যবস্থাপক দায়ী থাকেন না। এখানে ঊর্ধ্বতন যারা আছেন তারাও এর সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ক্রয় ব্যবস্থাপনা এ জায়গাগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুশৃঙ্খল না করব ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু এগুলো চলতেই থাকবে।
অনিয়মের তদন্ত ও বিচার না হওয়ার জন্য দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যখাতে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। নি¤œমানের মাস্ক ক্রয়, পিপিই কেলেঙ্কারি, নিয়োগ বাণিজ্যের কথা সবারই জানা। কিন্তু চুনো পুঁটি ছাড়া এখন পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কাউকে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি।


বিজ্ঞাপন