জনগণের ওপর হামলা এটা কোন গণতন্ত্র?

অন্যান্য বিবিধ

এইচ এম মেহেদী হাসান

 

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হঠাৎ সড়কে অবস্থান, গাড়ি ভাঙচুর, সাধারণ মানুষ ও পুলিশের ওপর হামলা। এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হঠাৎ করেই হাইকোর্টের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের নামে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করে ও পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলা করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। বিএনপি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার বাইরে রযেছে। সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা হয়ে ওঠেছে। বিএনপির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে যে,স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ও তাদেরকে রাজনীতিতে পুর্নবাসন করা এবং কি বিএনপি নিজেরাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছেন জনগণের কাছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও অবৈধ শাসক জেনারেল জিয়ার রহমানও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির দল। ইতিহাসের অনেক তথ্য উপাত্তে দেখা যায় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ছিলেন। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত। সুতরাং বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরণের চেষ্টা করে জেনারেল জিয়া। এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন জিয়া। রাজনীতি করতে রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ সুবিধা দিয়েও খুনিদের সহযোগিতা করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যেন কেউ না চাইতে পারে, সেই জন্য আদালতের কান্দে বন্দুক রেখে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে অবৈধ শাসক জিয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজাকার, আলবদর আলসামস, মানবতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুর্নবাসন করেন জিয়া। তাদের গাড়িতে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত পতাকা তুলে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ও ইতিহাসের সাথে তামাশা করে জিয়া। সুতরাং জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজায়। তার পরবর্তীতে তার দল বিএনপিও অবৈধভাবে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে। বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় দেশের মানুষকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। দেশের মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। দেশের সম্পদ লুঠ করে বিভিন্ন দেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে হ্যার্টিক করে বিএনপি জামাত জোট সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে খালেদা নিজামী সরকার। দেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ক্ষতবিক্ষত করে, বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করে বিএনপি জামাত সরকার। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে সব ধরণের চেষ্টা করে তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকার। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত করতেও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আয়োজন করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সরকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বিএনপি জামাত এমন কোন হীন কাজ বাকি রাখেনি। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের ছবি প্রকাশ পেয়েছিল তৎকালীন সময়ে। তৎকালীন বিএনপি জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত থেকে এতিমের টাকা পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। এতিমের টাকা আত্মসাতের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মাননীয় আদালত তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখেছে। তবে বলে রাখা ভালো এই মামলা কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের নয়। মামলা করেছে তাদেরই পছন্দের ফখরুদ্দীন মইনুদ্দিন সরকার অর্থাৎ তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে না পেরে বিএনপি জামাত বিরানব্বই দিন হরতাল অবরোধ দিয়ে সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। এমনি তাদের হাত থেকে পশুপাখি পর্যন্ত রেহাই পায়নি। দেশকে ধ্বংস করতে যা কিছু করা দরকার তার সবকিছুই করতে চেষ্টা করে বিএনপি জামাত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ও ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে সব কিছুই ভালো হচ্ছে তা কিন্তু নয়, অনেক ইস্যু আছে জনগণের পক্ষে কথা বলার। সেই ইস্যু কিন্তু বিএনপি কাজে লাগাতে পারছেনা। কারণ তাদের উদ্দেশ্য জনগণের মঙ্গলের জন্য নহে। তারা শুধুই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সব কিছু করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে, হোক সেটা দেশকে ধ্বংস করে কিংবা দেশের মানুষের অমঙ্গল করে বা অবৈধভাবে পন্থায় তাদের নেতা জিয়ার রহমানের মতো করে। দেশ যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বের সেরা দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনায়ক, মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার উদিয়মান অর্থনীতির একমাত্র দেশ হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সারা বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত লাভ করেছে, তখনই কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে দেশের মধ্যে। আর এই জন্যই বিএনপি জামাতের গা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। বেগম জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছে, যদি তাদের সদিচ্ছা থেকে থাকে তারা আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করবে, এখানেতো সরকারের কোন হাত নেই, যেহেতু আদালত স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই আদালতে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসনের সরকার। আইনের শাসন আছে বলেই তো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে হাইকোর্টের সামনে জঙ্গি হামলা করে সাধারণ মানুষের মৌলিক গণতন্ত্রকে হরণ করছে। মানুষের অধিকার নিয়ে জোর জবরদস্তি করছে। পাবলিক পরিবহনে ভাঙচুর করেছে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনাশ করার পায়তারা করেছে এমনকি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিরাপত্তা বিঘিœত করার চেষ্টা করে। এতে করে দেখা যায় ওদের আইন আদালতের ওপর বিশ্বাস নেই। ওদের গণতন্ত্রের ওপর ভরসা নেই, সাধারণ মানুষের ওপর আস্থা নেই, ওদের শুধু আছে পেছনের দরজা দিয়ে কিভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা যায়। সেই চেষ্টায় কাজ করে ওদের মাথায়। দেশপ্রেম বলতে কিছু দেখা যায় না দলটির মধ্যে।
হলি আর্টিজান মামলার রায়ের আগের দিনই বিএনপি কেনো হঠাৎ করে হাইকোর্টের সামনে জঙ্গি হামলা করলো? সেটাও কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়! সেইদিন যদি পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের হাইকোর্টের সামনে থেকে সরাতে ব্যর্থ হতেন, তবে কি বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্যই এই জঙ্গি হামলা করেছিল ঐদিন। অনেক কিছুই বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়। বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে ধ্বংসের রাজনীতি। দেশকে জাহান্নামে নিতেও তারা দ্বিধা বোধ করে না।
একটি দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী রয়েছেন এতিমের টাকা চুরি করে। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ও মানি লন্ডারিং মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে। সেই দল কিভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে? সেটাই জনগণের জিজ্ঞাসা বিএনপির কাছে। লন্ডন বসে ছড়ি ঘুরাচ্ছে আর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি জামাত। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি একদিনও মাঠে জমায়েত হতে পারেনি বা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিএনপির কথা মানুষ বিশ্বাস করে না। বিএনপি দলের মধ্যেই কোন শৃঙ্খলা নেই। নেতৃত্ব নিয়েও মতভেদ তৈরি আছে। তাই বিএনপির ব্যক্তি স্বার্থের আন্দোলন বা ক্ষমতায় যাওয়ার ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। বিএনপি জনগণের কোন ইস্যু আজ পর্যন্ত মাঠে দাঁড় করাতে পারেনি সরকারের বিরুদ্ধে। সুতরাং জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা ও বিশ্বাসে বলিয়ান। অন্যদিকে এখনও বিএনপি জামাতকে ছাড়তে পারেনি। জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জামাত কোনঠাসায় আছে। এখনও বিভিন্ন জেলায় বাকি মানবতাবিরোধীদের অপরাধের বিচার চলমান আছে। আর বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আরও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে এই বিচার করার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের কাছে নিয়ে জনগণের কাছে আরও বেশি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে বিএনপি। যদিও বিএনপি ও জামাত একই সূত্রে গাথা।
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম কোন কিছুই সাধারণ মানুষের জন্য নয়। তাদের ব্যক্তি স্বার্থের বাহিরে কোন আন্দোলন তারা করছেনা। তাদের আন্দোলনে কোন জন সম্পৃক্ততা নেই।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও এতো দ্রুত উন্নয়ন সাধন এবং উন্নয়নশীল দেশে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কে বিশ্ববাসী ম্যাজিকের মতো দেখছেন। যখন বিশ্বের ধনী প্রধান দেশ সমূহ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি, তখনও বাংলাদেশ সাতের উপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ যখন বিশ্ববাসীর ঘুম হারাম করে দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশে বিশ্বের উন্নয়ন ও শান্তির রোল মডেল এখন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও প্রতিকৃয়াশীল গোষ্ঠীদের আর কোনদিন বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বেগম জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তি নিয়ে বিএনপির আন্দোলনে মানুষ সাঁড়া দেবে না। একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎকারীকে এদেশের মানুষ কারাগারের বাহিরে দেখতে চায় না। সুতরাং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতিতে আর কাজ হবে না। জনগণ এখন সচেতন। গুজব মিথ্যাচারে কান দেবে না।
বাংলাদেশের মানুষের কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে, বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অপরাধী অপরাধীই সে বয়স্ক না কি জোয়ান সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আর যেহেতু এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, তার মতো জঘন্য পাপী মানুষ আর এই জগতে নেই। আর তাকে মুক্ত করতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও জনগণের জানমালের ওপর হামলা এবং সাধারণ নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া, কখনও বরদাশত করা যায় না। গণতন্ত্র তো মানুষের কল্যাণের জন্য, অথচ বিএনপি যে গণতন্ত্রের আন্দোলন করছে তা তো মানুষকে ধ্বংসের জন্য। সুতরাং মানুষ কখনও বিএনপি জামাতকে ক্ষমা করবে না।
যিনি এতিমের টাকা চুরি করে কারাগারে আছেন, তার সাথে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের আফ্রিকার অন্যতম মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে তুলনা করে বিএনপি নেলসন ম্যান্ডেলাকে অপমান করছে। কোথায় নেলসন ম্যান্ডেলা আর কোথায় বেগম জিয়া। সুতরাং বিএনপি এখন বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর জনগণকেও বোকা ভাবছে। বিএনপি জামাতের দুঃশাসনের কথা বাংলাদেশের মানুষ এখনও ভোলেনি। সুতরাং মানুষ এখন আর ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের কথায় বিশ্বাস করে না। মানুষ সঠিক ইতিহাসের পক্ষে রয়েছে, বিকৃত ইতিহাসকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে।
লেখক : কলামিষ্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *