চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত হয় নাদিয়া-আজিমের আন্তর্জাতিক পর্ন কনট্রেন্ট ভিডিও নেটওয়ার্ক

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর চট্টগ্রাম বিনোদন বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

সুমন হোসেন :  মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরের মেয়ে ২৮ বছর বয়সী নাদিয়া আক্তার বিথী। বিয়ে হয়েছিল মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে। বিয়ের ৮ বছর পর শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় চট্টগ্রামে। বর্তমানে নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “বাংলাদেশের ১ নম্বর মডেল” হিসেবে উপস্থাপন করেন। তবে বাস্তবে, তিনি আন্তর্জাতিক এডাল্ট কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন। বিশ্বের অন্যতম বড় একটি পর্ণ ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত তিনি বিশ্বব্যাপী পারফর্মারদের মধ্যে ৮তম স্থানে রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি তার প্রথম ভিডিওটি আপলোড করেন ২০২৪ সালের ১৭ মে তারিখে। চলতি অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ১শ’ ১২ টি ভিডিও আপলোড করেছেন। যা একত্রে ২শ’ ৬৭ মিলিয়ন এর বেশি ভিউ পেয়েছে।

যেখানে অন্যান্য বাংলাদেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা মুখ ঢেকে রাখেন। সে জায়গায় তিনি মুখ খুলে রাখেন এবং তার সঙ্গী চট্টগ্রামের এক ছেলে আজিম ও মুখ খুলে তার সাথে একত্রে অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন

তাদের ভিডিও গুলো একাধিক আন্তর্জাতিক সাইটে প্রকাশিত হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তারা সেগুলো প্রচার করছেন। অক্টোবরের প্রথম ২ সপ্তাহে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে অন্তত ৫০টি পোস্ট পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ।

চলতি বছর ২৫ আগস্ট এ মাদক-সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে মুক্তি পান।

বি ও এ-এর যৌথ টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়েছে ২০২৪ সালের মে মাসে। যেখানে প্রায় ২,০০০ সদস্য রয়েছে। সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট প্রচার করা হয় এবং নতুন সদস্য যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

নাদিয়ার বাবা-মা নাদিয়া কে ত্যাজ্য করেছে। নাদিয়া তাদের কোন কথাই শোনে না। অতিসত্বর বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের সাইট বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক সমাজ। এই বিষয় টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো চলছে সমালোচনার ঝড়।

👁️ 881 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *