
মকবুল হোসেন, (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় শোবার ঘর থেকে গভীর রাতে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ ১২ নভেম্বর বুধবার রাত অনুমান ২ টায় মোছাঃজুলেখা বেগম,পিতা দুলাল মিয়া,গ্রাম দক্ষিণ আমিরখাকুড়া,১নংভবনকুড়া ইউনিয়ন,থানা হালুয়াঘাট, জেলা ময়মনসিংহ পারিবারিক বাসায় এ মর্মান্তিক দুঃঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার খালিশাকুড়া গ্রামের অমির আলীর পুত্র মোঃ রতন মিয়া (৩০)জুলেখা বেগম এর সাথে বিগত ৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয় । তাদের দাম্পত্য জীবনে সাত বছর বয়সী কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

স্বামী রতন মিয়া গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করতেন।এবং তার স্ত্রী জুলেখা বেগম প্রায় দুই বছর পূর্বে দুবাই এ গৃহ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলতে থাকে স্ত্রী বিদেশ থাকাকালীন সময়ে। সম্প্রতি জুলেখা বেগম ছুটিতে দেশে আসেন। গত দেড় মাস ধরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
১১নভেম্বর তারিখে রতন মিয়া প্রতি সপ্তাহে মত স্ত্রীর বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানা যায় ১২নভেম্বর রাগ অনুমান ২ ঘটিকার সময় ঘরের মেঝেতে রতন মিয়া ও খাটের উপর তাদের কন্যা নড়িয়া (৭)এর গলাকাটা মরেদেহ পাওয়া গেছে। স্ত্রী জুলেখার গলা ও হাতে গুরুতর কাটা জখমী অবস্থায় দেখতে পায়। হালুয়াঘাট থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য সিআইডির বিশেষ ক্রাইম সিন টিমকে অবহিত করা হয়।
আহত জুলেখা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে ঘটনাস্থল হতে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার অতিরক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ আশরাফুল করিম জানান ঘটনাটির প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলমানআছে।
