
নইন আবু নাঈম তালুকদার (শরণখোলা) : ০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর উপকূলবাসী ভয়ংকর এক দুর্বিষহ দিনের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে। সেদিন সিডরের আঘাতে শুধু বাগেরহাটের শরণখোলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় এক হাজার মানুষর। টেকসই বেরিবাদ না থাকায় সেদিন সিড়রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একটাই দাবি ছিল আমাদের প্রাণের দাবি বেরিবাঁধ ।

পরে ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় চীনা কোম্পানির প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের
৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে তৎকালীন সরকারের কতিপয় দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালের সহযোগিতায় চীনা কোম্পানির. প্রকল্পের ঠিকাদাররা যেনতেন ভাবে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ই ডিসেম্বর দায় সারাভাবে বেড়িবাঁধের কাজ হস্তান্তর করে।
সিডারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা লঞ্চঘাট থেকে বগি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি স্বপ্নের বেরিবাঁধ নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় আজ হুমকির মুখে। সিডরে ১৮ বছর পর আজও কান্না থামছে না স্বজন হারা সেই মানুষগুলির। ইতিমধ্যে বেরিবাঁধে ২০/২৫ টি-টোয়েন্টি ব্লকে ধস ও নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সিডারের ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন মেম্বার, মোশাররফ খান , উত্তর সাউথখালী আব্দুল খালেক হাওলাদার, আলতাব খান ও রব চৌকিদার সহ অনেকেই আফসোস করে বলেন বেরিবাঁধ নির্মাণ ঠিকই হলো কিন্তু নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় আজ বেরিবাঁধ হারিয়ে যাওয়ার পথে।

শরণখোলা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন ও সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শহীদুল আলম লিটন বলেন, তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিজ বাদী দালালরা ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন প্রকল্পের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মাটির পরিবর্তে ভালো দিয়ে বেরিবাদ নির্মাণ করায় বেরিবাদের অসংখ্য জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় আজ বেরিবাঁধ টি হুমকির মুখে। শীঘ্রই নদী শাসন ব্যবস্থা না করা হলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় নির্মাণাধীন বাঁধটি নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগাহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যে বেরিবাঁধ এর যে সমস্ত জায়গায় ব্লকে ধ্বসে
পড়েছে সেগুলি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে নদী শাসন ব্যবস্থা প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়েছে শীঘ্রই নদী শাসনের কাজ শুরু হবে।
