
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অভয়ারণ্যের চর ও খাল দখলকারীর মূল হোতা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফেরদৌস খান আড়ৎদার এর তিনটি নৌকা দুইটি ট্রলারসহ ১১ ছেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। ৯ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বাউন্ডারি এলাকার বড় কটকার শিষা খালের অভয়ারণ্যের এক নং সাইট খালে মাছ ধরার সময় তাদের আটক করে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা কচি খালির অভয়ারণ্যের খালে ও চরে মাছ ধরছে এমন গোপন সংবাদে কচিখালি ও কটকার স্টেশন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান ও মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বন রক্ষীরা তিনটি নৌকা ও দুটি ট্রলার সহ ১১ জেলেকে আটক করে। আটককৃত জেলেরা হলো ,

শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রিয়াজ তালুকদার, মনির হাওলাদার, রবিউল শেখ, রহমান খান, বেল্লাল তালুকদার, শাওন, রাকিবুল ইসলাম ,নুরুল ইসলাম, নয়ন খন্দকার, আব্দুর রহিম ও ফয়সাল বালি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সমাজ সেবক বলেন ফেরদৌস খান গত সরকারের সময় বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের ও শরণখোলা উপজেলার কতিপয় আওয়ামী পন্থী নেতা কর্মীদের ম্যানেজ করে সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছের ব্যবসা করে আসছে। এখনো তিনি আবার রূপ পরিবর্তন করে গত এক বছর ধরে আবারো কটকা কচি খালির অভয়ারণ্যের চর ও খাল দখল করে মাছ শিকার করে আসছে। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে।


এব্যাপারে সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীর বলেন, অভয়াশ্রমের খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান করার সময় ৩টি নৌকা, ২টি ট্রলার সহ ১১ জেলেকে আটক করে বনরক্ষীরা। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।কিন্তু আড়ৎদার ফেরদৌস খান যেহেতু মাছ ধরা মাছ সবসময় ছিলেন না তাই আপাতত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে জেলেরা জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
