নড়াইলে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কিস্তির জন্য গ্রাহকের ছেলেসহ স্ত্রীকে অকার্থ ভাষায় গালমন্দসহ হুমকির অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল বয়লার হাউজের শফিক হুজুরের ১৪ বছরের ছেলে সিয়াম শেখকে কিস্তি নিতে এসে অকারনে অকার্থ ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে,দি-ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারোটিভ ব্যাংক এর ম্যানেজার মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। তবে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে ব্যাংকের ম্যানেজার মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,শফিক হুজুর ও রফিকুল ইসলাম দির্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে আসছে। কিছুদিন হলো রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই শফিক হুজুর ব্যাংকের কিস্তি নিয়োমিত সঠিক ভাবে পরিষধ করছেন না। এ কারনে আমিসহ আমার ব্যাংকের ২ জন স্টাফকে নিয়ে শফিক হুজুরের দোকানে যায়,তার কি সুভিদা অসুভিধা কিস্তি দিতে।
এসময় শফিক হুজুরসহ তার ছেলে সিয়াম দোকানে থাকলে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে বলি কিন্তু শফিক হুজুর আমাদের ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিলে,আমি ব্যাংকের ম্যানেজার হয়ে বলি আমার সন্মান দেখিয়ে আর কিছু টাকা বাড়িয়ে দেন
জানালে,শফিক হুজুর একটু পরে দিবেন বলে আমাদের বসিয়ে রেখে নামাজ পড়তে যান। এদিকে ১ ঘন্টা হয়ে গেলেও শফিক হুজুর না আসলে তার ছেলেকে কিস্তির টাকার বিষয়ে জানালে,আমাদের মূখে মূখে তর্ক করে এবং টাকা দিতে না চেয়ে আমাদের সাথে তর্ক সুরু করে। এসময় আমি রাগে ক্ষোবে বলি তুমার নাক টিপলে দুধ বের হবে,তুমি আমাদের সাথে তর্ক কবছো কেন,তুমি কিস্তির টাকা দিলে দাও না দিলে আমরা চলে যাচ্ছি বলে আমরা ব্যাংকে চলে আসি। তার কিছু সময় পরে নড়াইল বয়লার হাউজের মালিক মো:রফিকুল ইসলাম তার ব্যবহারীত মোবাইল ফোনে আমাকে অকার্থ ভাষায় গালাগালি করলে,আমি নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি বলেও জানান। নড়াইল বয়লার হাউজের মালিক মো:রফিকুল ইসলামের ছোট ভায়ের ছেলে সিয়াম শেখ সাংবাদিকদের জানান,(২৮ মার্চ) মঙ্গলবার বিকালে প্রতিদিনের মত আমাদের দোকানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কিস্তি নিতে আসেন,ব্যাংকের ম্যানেজার,
এসময় আমার বাবা দোকানে না থাকায় আমি দোকানে ছিলাম,আমি ম্যানেজার সাহেবকে দেখে বসতে বলি এবং বই ও কিস্তি’র টাকা ডয়ার থেকে বের করতেই আমাকে হঠাৎ করেই অকার্থ ভাষায় গালাগালি করেন,ম্যানেজার সাহেব,যেটা আমি আপনাদের সামনে বলতে পারছি না এবং আমাদের দোকানে মাদক রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন,এসময় আমাদের দোকানে অনেক লোক ভিড় জমালে ম্যানেজার তার লোকদের নিয়ে চলে যায়। তার কিছু সময় পরে আমার অসুস্থ মা ও বাবা বাড়িতে ইফতারি করার জন্য পস্তুতী নিলে,ব্যাংকের ম্যানেজার আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মা-বাকাকে অকার্থ ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার বাবাকে মারতে তেড়ে যায়। এসব কর্মকান্ড দেখে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে মা-কে বাবা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থিত নড়াইল বয়লার হাউজের মালিক মো:রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,গত কাল মঙ্গলবার সন্ধার আগে আমার ভাই ইফতারী করা জন্য বাড়িতে যায়,এসময় দোকানে আমার ছোট ভায়ের ১৪ বছরে অবুঝ ছেলে দোকানে থাকে এবং মার্কেন্টাইল কো-অপারোটিভ ব্যাংক এর ম্যানেজারসহ ৪-৫ জন্য আমাদের দোকানে এসে ভায়ের ছেলে সিয়ামকে খারাপ ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তোরা আমাকে চিনিষ তোকেসহ তোর বাবা হুজুরকে তুলে নিয়ে যাব এবং এই দোকানে মাদক রেখে তোর হুজুর বাবাকে পুলিশে ধরিয়ে দিব বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছু সময় পরে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার ছোট ভাই শফিক হুজুর ও তার স্ত্রীকে অকার্থ ভাষায় গালিগালাজসহ পুলিশ দিয়ে সকলকে ধরিয়ে নিয়ে যাবে ব্যাংকের ম্যানেজার বলে হুমকি দেয়। এদিকে এসকল হুমকি’র খবর ও ছোট ভাই এর ছেলের কান্না ও ভায়ের স্ত্রীকে গালিগালাজের খবর পেয়ে আমি ব্যাংকের ম্যানেজার মাসুদুর রহমানকে রাগের মাথায় গালমন্দ করেছি বলেও জানান। এমন হুমকি ধামকীর কারনে নড়াইল বয়লার হাউজের ব্যবসায়ী মো:রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই শফিক হুজুরসহ তাদের পরিবার এ হুমকি ধামকীর কারনে নিরাপর্তা হীনতায় ভুগছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান। যানা যায়,দির্ঘদিন ধরে, দি-ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারোটিভ ব্যাংক থেকে নড়াইল বয়লার হাউজের মালিক মো:রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই শফিক হুজুর ব্যবসা’র জন্য একাধীক বার ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তারই ধারাবাহীকতায় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী লোন নিয়ে লোন পরিষধ করে আসছে। ইতিমধ্যে বয়লার মুরগী’র ব্যবসা খারাপ হওয়ায় কিস্তি’র টাকা পুরোটা পরিষধ করতে পারছেন না,তবে প্রতিদিনই কিন্তি কম বেশি পরিষধ করে আসছেন,যার প্রমান মিলবে ভুক্তোভোগী নির্যাতিত গ্রাহকদের বই দেখলে। ব্যাংকের ম্যানেজার মো:মাসুদুর রহমান ও ব্যাংকের কর্মি মুসতাফিজুর রহমান জানান,আমরা আমাদের গ্রাহকদের সাথে খারাপ ব্যবহার কেন করবো,আমাদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে শফিক হুজুরসহ তার পরিবার। আমরা ব্যংকের নিয়ম অনুযায়ী,সকল গ্রাহককের সুবিধা অসুবিধা দেখেই ব্যংকের লেনদেন করে আসছি সুনামের সাথে। নড়াইল বয়লার হাউজের রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শফিক হুজুর আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সন্মান হানী করার চেষ্টা করছে বলে জানান।
👁️ 20 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *