বাংলাদেশেই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গু ডাব! — মহাপরিচালক ভোক্তা অধিদপ্তর

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় বাজারে হঠাৎ ডাবের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ডাবের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করছিলাম। ডেঙ্গুর কারণে ডাবের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডাবের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এর মূল্য বৃদ্ধি পায়। মিডিয়ার বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পারি হঠাৎ করেই দ্বিগুণের বেশি মূল্যে ডাব বিক্রি করা হচ্ছে, বাংলাদেশেই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গু ডাব!  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত যৌক্তিক মূল্যে ডাব ক্রয়-বিক্রয় বিষয়ে সচেতনতামূলক সভায় ডাবের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির বিভিন্ন অযৌক্তিক যুক্তির প্রসঙ্গ টেনে  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এমন মন্তব্য করেন।


বিজ্ঞাপন

সোমবার  ২৮ আগস্ট,  সকাল সাড়ে  ১০ টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলা, ঢাকা) যৌক্তিক মূল্যে ডাব ক্রয়-বিক্রয় বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা আয়োজন করা হয়।

উল্লেখিত  সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।


বিজ্ঞাপন

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক  মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, এফবিসিসিআই এর পরিচালক হারুন অর রশিদ, ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মো: হুমায়ুন কবির, ডাব বিক্রয়কারী বিভিন্ন আড়তদার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


বিজ্ঞাপন

সভার শুরুতেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আমরা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকের মাস আগস্ট পালন করছি।

সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উল্লেখিত  সচেতনতামূলক সভার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে নকল ও ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ভোক্তাবৃন্দ কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে থাকেন। তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি/অভিযান করা হয়ে থাকে।

মহাপরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় বাজারে হঠাৎ ডাবের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ডাবের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করছিলাম। ডেঙ্গুর কারণে ডাবের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডাবের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এর মূল্য বৃদ্ধি পায়। মিডিয়ার বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পারি হঠাৎ করেই দ্বিগুণের বেশি মূল্যে ডাব বিক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গু ডাব। এখানে কাজ করতে হবে আমি কখনো ভাবিনি। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ডলার সংকট বা বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলা হয়ে থাকে কিন্তু ডাবের মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।

সে প্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক গত ২৪ আগস্ট,  বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে রাত ৩  টা পর্যন্ত রাজধানীর  কারওয়ান বাজারে ডাবের মূল্য সংক্রান্ত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়াও গত ২৬ আগস্ট,  ও ২৭ আগস্ট,  ডাবের মূল্য তদারকিতে অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হয়।

মহাপরিচালক সভায় অভিযান থেকে প্রাপ্ত অসঙ্গতিসমূহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই অভিযানে ডাবের মূল্য বৃদ্ধির রহস্য উদঘাটন হয়। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কি বলতে পারবেন ডেঙ্গুর কারণে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে বা চাঁদা বৃদ্ধি পেয়েছে? কোয়ালিটি ভেদে যে ডাব সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৭০ টাকায় কারওয়ান বাজারে ঢুকছে তা কেন ২০০ টাকার উপর বিক্রি হচ্ছে?

এরপর  তিনি অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলকে বিগত দিনগুলোতে ডাবের মূল্যের উপর পরিচালিত অভিযানের বিষয়ে সভায় বলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সহকারী পরিচালক  আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে ডাব বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসংগতি যথা, আড়তের ডাব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্যাশ মেমো না পাওয়া, ডাবের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ১-২ টি আড়তে অভিযান পরিচালনার সময় পার্শ্ববর্তী অন্য আড়তদারদের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় পরিলক্ষিত হয়। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে অভিযানের পর ডাব ব্যবসায়ীরা ছোট ডাব ৪৫ টাকা, মাঝারি ডাব ৬০ টাকা এবং বড় ডাব ৭০ টাকায় উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে এবং এ দামে ডাব বিক্রি করলেও তাদের মুনাফা হবে মর্মে আড়তদাররা জানান। তিনি আরও বলেন উল্লেখিত  অপরাধের জন্য কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও বেড়িবাঁধ এলাকায় কয়েকজন আড়তদারকে জরিমানা করা হয়।

আলোচনায় সেগুনবাগিচা এলাকার ডাবের খুচরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বলেন, সেগুনবাগিচা এলাকায় ডাবের দাম অনেক আগে থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে ডাবের উৎপাদন কম থাকায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যাত্রাবাড়ী থেকে ১১০ টাকা দরে ডাব কিনে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করি।

সভায় কারওয়ান বাজার এলাকার ডাবের আড়তদার প্রতিনিধি বলেন, কারওয়ান বাজারে নোয়াখালী, খুলনা ও বাগেরহাট থেকে ডাব আসে। আমরা ডাবের ব্যাপারীদের সাথে যোগাযোগ করে পরিবহণের মাধ্যমে ডাব নিয়ে আসি। তিনি বলেন, আমরা ডাবের মূল্য নির্ধারণ করি আইডিয়া থেকে। ব্যাপারীগণ ডাবের মূল্যের আইডিয়া দেন কিন্তু কোন ভাউচার প্রদান করেন না।

আলোচনায় বেড়িবাঁধ এলাকার ডাবের আড়তদার প্রতিনিধি বলেন, ডাবের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ গত তিন মাস খরা ছিল। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত ডাব উৎপাদন হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমারা আশা করছি ডাবের দাম ১৫ দিনের মধ্যেই কমে যাবে।

সভায় যাত্রাবাড়ী এলাকার ডাবের আড়তদার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিকট ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী ও পিরোজপুর থেকে ব্যাপারীগণ পরিবহণের চালানসহ ডাব পাঠিয়ে দেয় কিন্তু কোন পাকা রশিদ দেয় না। তাঁরা মৌখিকভাবে ডাবের মূল্য নিধারণ করে দেয়। মোকাম থেকে এভারেজ দামে ডাব আসে। তারপর বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী আমরা সেই ডাব বিক্রি করি। ডাব বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কেউ মূল্য ঠিক করে দেয় না; আমরা নিজেদের মতই মূল্য নির্ধারণ করে থাকি।

আলোচনায় যাত্রাবাড়ী এলাকার পাইকারী ডাবের ব্যবসায়ী  মনির হোসেন বলেন, ডাবের মূল্যের ক্ষেত্রে মূলত সমস্যা খুচরা পর্যায়ে। আমরা তাদের কাছে ১২০ টাকা দরে ডাব বিক্রি করি। সেই ডাব তাঁরা ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় করতে পারে। কিন্তু তারা কেন এই ডাব ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করে? মূলত খুচরা পর্যায়ই ডাবের মূল্য বৃদ্ধির কারণ।

ডাবের খুচরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডাব ১১০ টাকা দরে ক্রয় করি এবং ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় করি। পাইকারি পর্যায়ে মূলত ডাবের মূল্য বাড়ীয়ে দেয়া হয়।

সভায় ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ হুমায়ুন কবির ডাব ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আইন মেনে হালাল উপায়ে ব্যবসা করেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা নৈতিকতার মধ্যে ফিরে আসেন এবং ভোক্তার ক্রয় সীমার মধ্যে ডাবের মূল্য রাখেন। ভোক্তারা না থাকলে আপনার কার কাছে বিক্রি করবেন। আপনারা ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার রাখবেন এবং ন্যায্য দামে সঠিকভাবে সঠিক পণ্য বিক্রয় করবেন।

আলোচনায় এফবিসিসিআই এর পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা লজ্জিত। ডাব নিয়ে, কাঁচা মরিচ নিয়েও আমাদের বসতে হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০ টাকা ডাবের দাম হয়েছিল কখনো? এর জন্য দায়ী হচ্ছে অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীর দিকে আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীর দিকে দোষ দিচ্ছেন। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হবে এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে এবং ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। যারা অসাধু ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর যে ব্যবস্থা নিবে আমরা সেক্ষেত্রে সবসময় অধিদপ্তরের পাশে থাকব।

আলোচনায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা চাই না ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হোক। ব্যবসায়ীদের দেশের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীগণ অবশ্যই ডাব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করে রাখবেন। তিনি বলেন, ডাব ব্যবসায়ীদের নিয়মের মধ্যে রাখতে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

মহাপরিচালক সভায় পরিশেষে বলেন, আমি কখনো ভাবিনি ডাব নিয়ে আলোচনা সভা করতে হবে। আলোচনায় উঠে এসেছে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ডাবের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা চাই এই ক্ষেত্রটা একটা শৃঙ্খলায় আসুক। আপনারা ক্যাটাগরি অনুযায়ী অর্থাৎ সাইজ অনুযায়ী ডাবের দাম নির্ধারণ করে তা মূল্য তালিকায় প্রদর্শন করবেন। ব্যবসায়ীগণ অবশ্যই ডাব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করে রাখবেন। অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা কালে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স ও ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা ভাউচার যাচাই করবে। আগামীকাল থেকে সারা বাংলাদেশে অধিদপ্তর কর্তৃক এ বিষয়ে তদারকি করা হবে। ডেঙ্গুকে টার্গেট করে ডাবের দাম বাড়ানো হয়েছে এটা স্পষ্ট। আপনারা সকল আইন মেনে সম্মানের সাথে ব্যবসা করেন। এই ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ব্যবসা করতে হবে। এই সেক্টেরে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মিডিয়া আমাদের সমাজের দর্পণ। ডাবের অযৌক্তিক মূল্য নিয়ে আপনারা নিউজ করেছেন বলেই তার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরে এই সেক্টরে কাজ করতে পারছি। আপনাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে। মহাপরিচালক সভা শেষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁদের নিউজের জন্য বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান।

আলোচনা শেষে মহাপরিচালক ডাবের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

👁️ 8 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *