৫ তারিখের পর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বনে যাওয়া রানার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর মামলা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রংপুর সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

গাইবান্ধা  প্রতিনিধি  :  গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াবান্ধা এলাকার কথিত বিএনপি করা স্বেচ্ছাসেবক দল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেয়া সোহেল রানার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আমলী আদালতে অর্থ আত্মসাৎ এর মামলা দায়ের হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃতৌহিদুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত গাইবান্ধায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে ‘ধারের’কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৫ আগষ্টের পর স্বেচ্ছাসেবক দল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেয়া সোহেল রানার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আমলী আদালতে অর্থ আত্মসাৎ এর মামলা দায়ের হয়েছে।যার প্রধান আসামি রানা নিজেই।


বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল রানা ,ঢাকা তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় “মা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ” নামীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।


বিজ্ঞাপন

ব্যবসা পরিচালনার জন্য রানার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় এবং টাকা সংগ্রহের অন্য কোন উপায় না থাকায় সাংবাদিক তুহিনের সাথে রানার পূর্ব থেকে সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে রানা তুহিনের নিকট থেকে ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের শর্তে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা ধার চাইলে তুহিন মানবিক কারনে রানার প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সময় অনুমান সকাল ১০ টার দিকে রানা তুহিনের বাড়িতে এসে কতিপয় সাক্ষীগনের সামনে তুহিনের নিকট থেকে ৩০০(তিনশত) টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করে একযোগে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা ধার গ্রহন করে আজ পর্যন্ত টাকা ফেরত না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।

মামলার বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও এলাকাবাসী জানান, ৫ আগস্টের পর হঠাৎ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বনে যাওয়া রানা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। অতি সত্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

জানা যায়,এর আগে রানা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতাদের ছায়াতলে থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেছে।

এলাকাবাসী আরো জানান,রানার বাবা একজন মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন কিছু দিন আগে মারা গেছেন।উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।এই রানা তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতার চেক রেখে টাকা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।যা শুধু পুত্র হয়েই নয় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চরম অবমাননার শামিল।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সেই সাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য,সোহেল রানার ফেসবুক আইডি ঘেটে দেখা যায়,৫ আগস্ট এর পর বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর সঙ্গে ছবি ছেড়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিএনপির ভাব মূর্তি নষ্ট করে যাচ্ছে।বর্তমানে রানা এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি’র ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে।

👁️ 1 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *