যমুনা অয়েলে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছে একাধিক দুনীতিবাজ কর্মকর্তা !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ অর্থনীতি আইন ও আদালত কর্পোরেট সংবাদ ঢাকা বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক   :   তিন মাফিয়ার নিয়ন্ত্রণে যমুনা অয়েল শিরোনামে ইতিমধ্যে আমাদের অনলাইন পোর্টালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ তবে তিন জনের মধ্যে দুই মাফিয়া ফের আলোচনায় এসেছে।এরা হলো জিএম এইচ আর মাসুদুল ইসলাম ও এজিএম অপারেশন (ডিপো) শেখ জাহিদ আহমেদ । আগামী কাল যমুনা অয়েলের অন্যতম মাফিয়া শেখ জাহিদ আহমেদকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে । অবশ্য এই তালিকায় আছে ফতুল্লা ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ আসলাম খান আবু উলায়ীও।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা ডিপোতে পৌনে চার লাখ লিটার ডিজেল গায়েব হয়েছে৷ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে চার দফা । ইতিমধ্যে সকল তদন্ত কমিটির মেয়াদের সময়সীমা পার হয়ে গেছে, তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সবকটি কমিটিই। তেল চুরির এই মহা জালিয়াতর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা ডিপোর ইনচার্জ মোহাম্মদ আসলাম খান আবু উলায়ী ও এজিএম অপারেশন ( ডিপো) শেখ জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে । তদন্তের স্বার্থে এই দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের দাবি তুলেছে যমুনা অয়েলের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা । তবে মজার বিষয় হচ্ছে বরখাস্ত নয় বরং এই দুজনকে পদোন্নতি দেয়ার ব্যবস্থা করছে প্রতিষ্ঠানটি জিএম এইচ আর মাসুদুল ইসলাম।

যমুনা সুত্রে জানা গেছে আগামীকাল বিকাল পাঁচটা ১৫ মিনিটে ঢাকা লিয়াজো অফিসে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সম্পর্কিত একটা সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পদোন্নতির তালিকায় মোহাম্মদ আসলাম খান ও শেখ জাহিদ আহমেদের নামের প্রস্তাবও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে মাসুদুল ইসলাম মাস তিনেক পর প্রতিষ্ঠানটির এমডি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় তার পছন্দের লোকজনকে পদোন্নতি দিতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। আসলাম খান আবু উলায়ী ও শেখ জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা ডিপোর তেল চুরির ঘটনা ছাড়াও অনিয়ম ও অভিযোগের শেষ নেই । তাদের পদোন্নতির আগাম খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যমুনা অয়েলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ।


বিজ্ঞাপন

শোখ জাহিদ আহমেদ এজিএম অপারেশন ডিপো ( সকল ডিপো গুলোর ইনচার্জ)। ফতুল্লা ডিপোতে ডিজেল গায়েব হওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি তিনি কোন ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেনা। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তার পদোন্নতির বিষয়টি, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে করছে অনেকই।

জানা গেছে সেনাবাহিনী হতে চাকুরীচ্যুত জাহিদ আহমেদকে প্রতিষ্ঠানটিতেও চাকরি দেয়া হয়েছে অবৈধ ভাবে। ২০১১ সালের ফ্যাসিস্ট সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সুপারিশে টার্মিনাল সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসাবে তিনি যোগদান করেন। ২০১৪ সালে টার্মিনাল এ ১১ নং ষ্টোরেজ ট্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত কমিটি জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পায়। স্থগিত করা হয় দুই বছরের জন্য তার ইনক্রিমেন্ট। পরবর্তীতে তাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উল্টো পদায়ন করা হয় রাজশাহী ডিপোর বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে।

সিকিউরিটি ইনচার্জ থেকে বিক্রয় কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠানটির নিয়মে নেই, কিন্তু শেখ জাহিদ আহমেদের বেলায়, সেটাই হয়েছে । এখানেই থেমে নেই, পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে নাটোর, ফতুল্লার মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিপো ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে৷ ফতুল্লা থাকাকালীন সময়ে শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমীর ওসমানের ডানহাত হিসাবে পরিচিতি পায় এই শেখ জাহিদ আহমেদ।

এমন কোন অপকর্ম নেই, ফতুল্লা ডিপোতে তিনি করে যায়নি৷ তার দায়িত্ব থাকাকালীন তেল চুরির মহা উৎস চলেছে, ফতুল্লা ডিপোতে। যা বর্তমানেও বলবৎ আছে । এদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান চিকিৎসক ডা: উত্তম বড়ুয়া কর্তৃক একাধিকবার তাকে মানষিক ভাবে অপ্রতিষম্য ( মেন্টালি ডিস অর্ডার) প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেছে।

👁️ 62 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *