সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের মৎস্যজীবিরা চলতি নদীতে বড়শি দিয়ে মৎস্য আহরণে বাঁধা : লিখিত অভিযোগ দায়ের

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সংগঠন সংবাদ সিলেট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের বড়খলা ও আনোয়ারপুর গ্রামের কিছু মৎস্যজীবি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য সোহাল গ্রাম থেকে গোয়াড়ারঘাট পর্যন্ত চলতি নদীতে বড়শি দিয়ে মৎস্য আহরণ করে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্ত উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মৃত হাজী বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আক্তার হোসেন এই নদীটি তিনি ইজারা এনেছেন দাবি করে মৎস্যজীবিদের বড়শি দিয়ে মৎস্য আহরণে বাধাঁ প্রদান করছেন এমন অভিযোগ মৎস্যজীবিদের।


বিজ্ঞাপন

তারা রোববার(০২/১১/২৫ ইং) তারিখে দুপুরে মৎস্যজীবিদের পক্ষে রবি,গিয়াস উদ্দিন,যতিন্দ্র বর্মণ,দিগেন্দ্র বর্মণ, মনবিশাল, ইসলাম নুর সুহেলমান,নিজাম ও সুহেল মিয়া স্বাক্ষর নিয়ে বাধাঁ প্রদানকারী আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাযের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানান যায়,মৎস্যজীবিরা এই নদীতে মাছ ধরতে গেলে আক্তার হোসেন তাদের নিকট চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মৎস্যজীবিদের মাছ জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং মারধর করতে কাপন্যবোধ করেন না। মৎস্যজীবিরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আক্তার হোসেন তাদের জানিয়ে দেন এই নদীটি সরকারীভাবে উনার নমে ইজারা আনা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারীরা বলছেন ইজারা আনা সম্পূর্ণতা মিথ্যা ও বানোয়াট। মৎস্যজীবিরা বলেন যদি আক্তার হোসেন এই নদীটা ইজারা সরকার থেকে নিয়ে আসেন তাহলে তিনি সীমানা চিহিৃত করার কথা বললে আক্তার হোসেন কোন কাগজপত্র দেখাতে রাজি নন। সহায় সম্বলহীন এই সব মৎস্যজীবিদের জীবন জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হলো হাওর কিংবা নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ আহরণ করে তা বাজারে বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্তমানে তারা আক্তার হোসেনের হুমকিতে বড়শি নিয়ে নদীতে যেতে না পারায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন।


বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে অভিযোগকারীর পক্ষে রবি ও গিয়াছ উদ্দিন জানান,আমরা মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বেঁেচ থাকার একমাত্র অবলম্বন হলো হাওর কিংবা নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ আহরণ করতে পারলে চারটা ডালভাত কোনরকমভাবে খেতে পারি। এখন আক্তার হোসেন আমাদের বাঁধা প্রদান করায় আমরা মানবেতন জীবনযাপন করছি। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।


বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে তাহিরপুরের সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহরুখ আলম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

👁️ 142 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *