
খলিফা সাগর, (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবারিয়া ইউনিয়নের সরোয়ার (৪৭) হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় পটুয়াখালী জেলার ডিসি কোড সংলগ্নে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুস্টিত হয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
প্রেরন করা হয়।
মানববন্ধনে নিহত সরোয়ারের স্ত্রীআকলিমা তার স্বামীর খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন, সরোয়ারের ভাই মোঃ দেলোয়ার হাওলাদার তার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের কে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান, স্থানীয় জনগন সমাজসেবক আরও অনেকে সরোয়ার হত্যার বিচারের দাবীতে এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। এসময় তারা অনতিবিলম্বে সরোয়ার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আসামীরা মাদকের ব্যবসার সাথে দীর্গদিন যাবত জরিত তাদের নেশা ও পেশা মাদক। তারা আকুতি বিনিময়ে আমার স্বামীর কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। বার বার তাদের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে ওরা ছলনা করে মাসের পর মাস।এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি দেশের সর্ব স্তরের মানুষের নিকট আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার (০৩) নাবালক সন্তান এতিম হয়ে গেল। আমি এখন কিভাবে বাঁচবো, আর কিভাবে চলবো।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪/১১/২০২৫ তাং রোজ শুক্রবার রাতে মামলার আসামি মোঃ ইলিয়াস মৃধা, মোঃ ফারুক হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মোঃ সবুজ আকন। সরোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে ইলিয়াস মৃধার বাড়ির সামনে নিয়ে যায়।
সেখানে সারোয়ারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসী তার ফ্যামিলিকে খবর দিয়ে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশাল পাঠানো হয় সেখানে সরোয়ারের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহত সরোয়ারের ভাই মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার পটুয়াখালী থানায় ০৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে। খুনিরা হত্যার পর থেকেই পলাতক। বাদীপক্ষের দাবী আসামীদের দ্রুত গ্রেপতার করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
