
নিজস্ব প্রতিনিধি (বরিশাল) : ওসমান হাদীর মৃত্যুতে তিনি নিজেও অশ্রু ঝরালেন, কাদালেন পুরো দেশকে। বরিশালের মানুষ কত ভাগ্যবান—যেখানে এমন একজন ডিআইজি আছেন, যিনি দায়িত্বকে কেবল ক্ষমতার হিসাবের মতো দেখেন না, বরং দায়িত্বকে অনুভব করেন, হৃদয়ের গভীর থেকে।

একজন ডিআইজির চোখের পানি আমাদের মনে করিয়ে দিল—মানবিকতা এখনও পুরোপুরি হারায়নি। এই কান্না আমাদের শেখাল, যে দেশের সুরক্ষা শুধু অস্ত্র বা ক্ষমতার প্রশ্ন নয়, বরং এখানে মানুষের হৃদয়, মানবতা ও ন্যায়বিচারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
তার কান্না দেখলে একটাই বার্তা স্পষ্ট—সব পুলিশ খারাপ নয়। আছে মানুষ, যারা পোশাকের আড়ালে নয়, বরং তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে দেশকে ভালোবাসেন, দেশকে রক্ষা করতে জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত।

ইশ! যদি বরিশালের মতো মানবিক ডিআইজি প্রতিটি জেলায় থাকতেন, আজকের বাংলাদেশ এইরকম হত না। সন্ত্রাসী খুনীরা আর নির্বাধে ঘুরে বেড়াত না। সাধারণ মানুষ শান্তিতে থাকতে পারত, এবং ন্যায়বিচার সবার জন্য সমানভাবে পৌঁছাত।

আজ আমরা শুধু একজন ডিআইজির কান্না দেখিনি, আমরা দেখেছি—মানবিকতার সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি। আমরা শিখেছি, যে দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তার হৃদয় কখনো নীরব থাকে না। আমরা শিখেছি, সত্যিকারের শক্তি শুধু ক্ষমতায় নয়, অনুভবের গভীরতায় লুকিয়ে থাকে।
বরিশালের এই ডিআইজি আমাদের মনে করিয়ে দিলেন—আশা এখনও বেঁচে আছে। মানবতা এখনও বেঁচে আছে। এবং যদি এই রকম মানুষ প্রতিটি জেলায় থাকতেন, দেশের পরিস্থিতি কখনো এমন হতো না।
