প্রসঙ্গঃ শমী কায়সারের বিয়ে…

বিনোদন

আজকের দেশ রিপোর্ট : শমী কায়সার বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এমন এক নক্ষত্রের নাম যার নাম উচ্চারণ ব্যতিরেকে একটা প্রজন্ম কখনোই বাংলার সংস্কৃতিকে প্রকাশ করতে পারবেন না। মানুষটি আবার শহীদ বুদ্ধিজীবীর কন্যা। স্বভাবতভাবেই তার প্রতি আমাদের আবেদনটা এবং তার প্রতি আমাদের সম্মানবোধটা অন্যমাত্রার।
যদিও ব্যক্তিগত কিছু কর্মকান্ডের জন্যে মিডিয়ায় সমালোচিত হয়েছেন বহুবার। সর্বশেষ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে নিজের মোবাইল সেট চুরি হওয়ার ঘটনায় সংবাদকর্মীদের দিকে আঙ্গুল তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন। আমি ‍নিজেও তখন শমীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে শমী দুঃখ প্রকাশ করে সেই যাত্রায় পাড় পেয়েছেন।
যা-ই হোক, আমি শমীর ভালোই চাই। একটা মানুষ সুখে স্বাচ্ছন্দে বাচার চেষ্টা করছেন। ক্ষতি কী? তবে দুর্ভাগ্যবশত শমীর ব্যক্তি জীবন সুখের হয়নি। একের পর এক গাঁটছড়া বেঁধেছেন। আশাকরি এবার তিনি সুখে থাকবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রেখে দেখলাম নানা শ্রেনির মানুষ তুলোধুনো করছেন বিষয়; শমী কায়সারের তৃতীয় বিয়ে। আরে ভাই এই সমাজে একজন ছেলে বা পুরুষ একের পর এক বিয়ে করলে বা আগের বিয়ে লুকিয়ে পরে বিয়ে করলে কোন দোষ হয় না, তাকে আমরা বিষেদগার করিনা। কিন্তু যখনই কোনো প্রাপ্তবয়স্ক, নিজের পায়ে দাঁড়ানো নারী, একের অধিক বিয়ে করেন তখনই দেখা যায় দল-মত-নির্বিশেষে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই তার পেছনে লেগে যাই বলতে যে ‘এইসব মেয়েদের কখনোই তো সংসার হয়না’।
যতভাবে পারা যায় মেয়েটির চরিত্রে কিভাবে কালিমা লেপন করা যায় বা মেয়েটিকে কিভাবে ছোট করা যায় তার এক প্রতিযোগিতায় নামি আমরা! এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাদ যায় না কেউ – না নারী, না পুরুষ, না শিক্ষিত, না অশিক্ষিত, না মিডিয়াকর্মী, না সংস্কৃতি কর্মী। এই একটা জায়গায় আমরা সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে যাই!!
কি করেছেন শমী কায়সার? সম্পর্কগুলো চলছিল না বলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সমাজের ঐসব কীট-পতঙ্গের মত চার-পাঁচটা সম্পর্ক রাখেননি।
অবাক হয়ে দেখলাম আর ভাবলাম, গত কয়েকদিন যে মানুষগুলো ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন- আজকে তা-রা-ই শমী কায়সারের শ্লীলতাহানি করতে ছাড়লেন না! এদের মধ্যে অনেকেই আবার নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মী দাবি করে !!!


বিজ্ঞাপন