সরিষাবাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা, সরকারি ৪ কর্মচারী লাঞ্চিত

সারাদেশ

মোস্তাফিজুর রহমান, সরিষাবাড়ী : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা প্রদান ও সরকারী ৪ কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী কাজে বাধা ও সরকারী ৪ কর্মচারী লাঞ্চিতকারীকে আটকের ৪ ঘণ্টা পর মুচলেকায় মুক্তি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ জেটি ঘাট এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে- সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৬ টি ড্রেজার মেশিনে আগুনে পুড়িয়ে এবং পাইপ ধবংস করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্য আওনা ইউনিয়নের ঘুইঞ্চার চর গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে শাহজামাল(৩৫) এর নেতৃত্বে শতাধিক স্থানীয় লোকজন নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিসের ড্রাইভার লিকসন মিয়া,আওনা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক শফিকুল ইসলাম,পিংনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক শাহীন মিয়া ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিসের ঝাড়ু–দার সাজু বাশফোর কে শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া ও সরকারী গাড়ী ভাংচুর করার চেষ্টা করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত এর নির্দেশে সরিষাবাড়ী থানার এস আই আরিফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা জগন্নাথগঞ্জ জেটি ঘাট এলাকা থেকে শাহজামাল(৩৫) কে সরকারী কর্মচারী’র জনস্বার্থে কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে আটক করেন। পুলিশ শাহজামালকে সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। এরপর বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্য শাহজামাল তার অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করার পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি ড্রেজার মেশিন এবং পাইপ ধ্বংস করা হয়।ওই মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বালু উত্তোলনকারী শাহজামাল(৩৫) কর্তৃক সরকারী কর্মচারী’র জনস্বার্থে কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বালু উত্তোলনকারী শাহজামাল তার অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন