মাস্ক ছাড়া বের হলেই জরিমানা

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

বৃষ্টি আর লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ


বিজ্ঞাপন

গলি আর কাঁচাবাজারে বেজায় ভিড়

 

বিশেষ প্রতিবেদক : লকডাউনের সঙ্গে বৃষ্টিতে সকাল থেকেই ঘরবন্দি মানুষ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। বেশিরভাগ সড়কে রিকশাসহ অল্প কিছু যানবাহন চলছে। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে কোথাও কোথাও। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মোহাম্মদপুরে বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে এবং বৃহস্পতিবারে অকারণে ঘুরতে বের হওয়া অনেক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় দোকানপাট আজ কিছু খোলা পাওয়া গেলেও লোকজনের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কাওরান বাজারের প্রধান সড়ক, সায়েন্স ল্যাব এলাকা, শাহবাগ, মিরপুরের ৬, ৭ ও ১২ নম্বরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। লোকজনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। বৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কিছু শিথিল অবস্থা দেখা গেছে। অনেকের মুখের মাস্ক দেখা গেছে থুতনির নিচে।
গলি আর কাঁচাবাজারে বেজায় ভিড় : করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের তেমন আনাগোনা নেই। তবে কাঁচাবাজার, মাছের বাজার ও গলিতে গলিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, মিরপুর, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব গলির কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ প্রায় সব দোকান ছিল খোলা। মাঝে মাঝে গলিতে পুলিশের গাড়ি ঢুকলে দোকান বন্ধ করার তোড়জোড়ও দেখা গেছে। এসব গলিতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
তবে এবারের লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে।
মাস্ক ছাড়া বের হলেই জরিমানা : করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউন চলছে। শুক্রবার লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকার সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল অনেক কম। তবে বাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে প্রয়োজন ছাড়া ও মাস্ক না পরে ঘর থকে বের হয়ে অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে।
আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলা শহরগুলোতে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও দেখা গেছে হাতেগোনা কয়েকটা। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে।
বরিশাল: সকাল থেকে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে নগরীর চকবাজার, নতুনবাজার, নথুল্লবাদ, কাশিপুর, আমতলার মোড়, বাংলাবাজার, রুপাতলী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান ও জাভেদ হোসেন চৌধুরী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা বেশ কয়েকজনের অর্থদ- করেন। লকডাউনের কারণে ওষুধ, খাবারের দোকান ও কাচাবাজার ছাড়া অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেছে। মানুষজন পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচল করছে। এদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক, আবার অনেকেই থুতনির নিচে মাস্ক নিয়ে ঘুরাফেরা করছিলেন।
পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। নগরীর ২০টি স্পটে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মানুষকে সচেতন করতে চলছে মাইকিং।
চট্টগ্রাম: করোনা সংক্রমণরোধে দেওয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মাঠে তৎপর রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। সকাল থেকে পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম। তিনি বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এবার লকডাউন নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নগরবাসীকে অনেক বেশি সচেতন দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে এই পর্যন্ত পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। সড়কে কয়েকটি সিএনজি, প্রাইভেটকার চলছে। তবে এদের প্রত্যেকেই সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনে বের হয়েছেন। দোকান-পাটও খুব একটা খোলা নেই। সাধারণ মানুষ যারা বের হচ্ছেন তারা মাস্ক পরেই বের হচ্ছেন। এরপরও যারা নির্দেশনা মানছেন না জরিমানা করা হচ্ছে। সকাল থেকে ৭-৮জনকে জরিমানা করার তথ্য জানান তিনি।
রাজশাহী: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে (শুক্রবার) রাজশাহী শহর ছিল ফাঁকা। তবে ছুটির দিনে নগরীর সাহেব বাজার ও মাস্টারপাড়ার কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরুত্ব মানার কোনও চেষ্টা ছিল না। এদিকে নগরীতে মাস্ক না পরার কারণে পথচারীদের আটক ও জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়াও দিনে নগরীর রাস্তাঘাট ছিল সুনশান। মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম বললেই চলে। তবে অপ্রয়োজনে বাইরে আসা ঠেকাতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ টিম নগরীতে জরিমানা করছে।
ময়মনসিংহ: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো কঠোর লকডাউন চলছে। সকাল থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাটদের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মহানগরীর মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানচালক ও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষকে লকডাউন পালনে বাধ্য করছেন। যারা মানছেন না তাদেরকে জমিরানা করতেও দেখা গেছে। বিশেষ করে মাস্ক ছাড়া বের হলে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে পড়ছেন নগরীর বাসিন্দারা। লকডাউনের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ আছে। নগরীতে পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট যান চলতে দেখা গেছে। দোকানপাট বন্ধ ছিল, তবে কাঁচাবাজার, ওষুধ ও খাবারের দোকানপাট খোলা দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউন সফল করতে জেলায় পুলিশের ১৬টি, র‌্যাবের দুটি, সেনাবাহিনীর ১০টি , বিজিবির চারটি, এপিবিএনের দুটি টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট দায়িত্ব পালন করছেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হচ্ছে। এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
রংপুর: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিভাগীয় নগরী রংপুরে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। সড়কে সকাল থেকে কিছু রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে মোটরসাইকেল আটকে চলাচলের কারণ সন্তোষজনক না হলে আরোহীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবি নগরীতে টহল দিয়েছে। নগরীর ১২টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ বিভিন্ন অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলকে ফিরিয়ে দিতেও দেখা গেছে। তবে কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এদের অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। সড়কে মাস্ক ছাড়া বের হয়ে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের। রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, এবার লকডাউনে কোনও ছাড় নয়। অকারণে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সিলেট: সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। সকাল থেকে সিলেট মহানগরীসহ উপজেলাগুলোতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের একাধিক টিম। একইসঙ্গে সিলেটের প্রবেশদ্বারগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসময় পুলিশ মানুষ ও লকডাউনে বের হওয়া গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতরা। সদুত্তর দিলে গন্তব্যে যেতে পারছেন, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার পাশাপাশি তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে। এছাড়া মাস্ক ছাড়া কাউকে সড়কে পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে সকালে সিলেটের সড়কে লোকজন একেবারেই কম দেখা গেছে। লকডাউনের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে অনেকেই প্রয়োজন থাকলেও ঘর থেকে বের হননি।
খুলনা: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে খুলনায় সেনা টহল চলছে। শুক্রবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি টিম নগরীতে টহল শুরু করে। প্রশাসনও ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতায় নগরীর সড়ক জনশূন্য হয়ে পড়েছে। উৎসুক জনতাও এখন আর সড়কে বের হচ্ছেন না। তবে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া কিছু লোককে সড়কে দেখা গেছে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়েও লোকজন বের হচ্ছেন। সড়কে রিকশার আধিক্য দেখা গেছে। তবে আশানুরূপ তারা যাত্রী না পেয়ে তারা হতাশ।
গাজীপুর: করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বগতির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেওয়া লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকেই শিল্প নগরী গাজীপুরে তৎপর ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের ওপর চলছে নজরদারি। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতেও চলছে পুলিশের টহল। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গাজীপুরে মোতায়েন করা হয়েছে ছয় প্লাটুন সেনা ও বিজিবি সদস্য। সড়কে মানুষ ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে গাজীপুর জেলা ও মহানগরে ৫০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিসি তরিকুল ইসলাম জানান, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জেলা পুলিশ ৫০টি পয়েন্টে কাজ করছেন। এরম মধ্যে জেলা প্রশাসন ১৮টি চেক পয়েন্টে এবং জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন আরও ৩২টি চেকপোস্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিন প্লাটুন সেনাসদস্য, তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্টে লকডাউনে তারা অন-অনুমোদিত যানবাহন, দোকান-পাট খোলা নিয়ন্ত্রণ এবং অনুমোদিত গাড়ির চালক, যাত্রী বা শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৮টি টিমে ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান ডিসি।
নারায়ণগঞ্জ: লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর চাষাঢ়াসহ অন্যান্য চেকপোস্টগুলোতে সকাল থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া লকডাউনের আওতায় নিষিদ্ধ কোনও যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার ছাড়া কিংবা বিনা প্রয়োজনে মানুষ ঘরের বাইরে বের হলেও চেকপোস্টগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকে জরিমানাও গুনছেন।
মুন্সীগঞ্জ: এদিকে লকডাউন ও বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট একদম ফাঁকা ছিল। ঘাটে কোনও যাত্রী নেই। যানবাহনও বেশ কম। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা দেখা গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, লকডাউনের কারণে ঘাটে কোনও যাত্রী নেই। অল্প কিছু পণ্যবাহী যান আছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, ঘাট একদম ফাঁকা। ফেরিগুলোকে বরং যানের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সব যান রানিং আছে।