বিনোদন প্রতিবেদক : কিছুদিন আগে আমরা যে প্রোগ্রামটা’তে গেলাম সেখানে যাওয়ার আগে ‹আমি যখন শুনলাম যে অপু বিশ্বাস’ও যাবেন.. আমি এটাশুনে বললাম যে, উনি যে ভাবারু আল্লাহ জানে কি হবে.. !! কিন্তু যখন আমি ওখানে গেলাম তখন আমার পুরো ধারণা টাই পাল্টে গেছে।
উনাকে আমার এতো ভালো লেগেছে বলে বুঝাতে পারবো না। এর আগে আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা হলে আই কন্টাক্ট ও হতো কিন্তু কথা হতো না। আর উনি তো ক্যারিয়ারে আমার থেকে অনেক সিনিয়র অনেক বেশি কাজ করেছেন। আমারই উচিৎ ছিলো তার সাথে আগে এসে কথা বলা।
সেটা যদি আমি না করি সে নিশ্চয়ই আগে এসে কথা বলবে না, এটাই স্বাভাবিক..!! কিন্তু আমি আগে এটা ভেবে দেখিনি, আমার মনে হতো সে অনেক ভাবারু। এখানে আমি অনেক আর্টিস্ট দেখেছি যারা প্রচন্ড সাংসারিক।
অপু দিদির কথাই বলবো, তার সাথে যে ছিলাম আমি, দেখলাম উনি একটু পর পর কল দিচ্ছে বাসায় ভিডিও কলে দেখছে জয় [অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়] কি করছে.. !!
মোবাইলে সিসি টিভির ফুটেজে দেখছে তার ছেলে কি করছে.. !! যাদের প্রোগ্রামে গেছে তাদের কে বারবার বলতেছে.. !!
ফোর্স করতেছে আমাকে এইবার বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন.. মানে সে অনেক ভালো একটা মানুষ, মাহিয়া মাহি
‘তারার গল্প’ নামে একটি প্রোগ্রামের ৩ পর্বের অতিথি হয়ে এসেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সেইখানে মাহি অপু সম্পর্কে এইসব কথাগুলো বলেছিলো।
বেশি ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, মাহি কে একবারও কিন্তু অপু সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। সে নিজে থেকেই অপুর টপিকস’টা বারবার টেনে আনছিলো এবং তাকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছিলো।
সে অনেক সাংসারিক একটা মেয়ে.. ছেলের প্রতি অনেক কেয়ারিং.. অনেক ভালো মনের একটা মানুষ.. এইসব আরকী..!!
শুধু মাহিয়া মাহি নাহ, অপুর সাথে যারাই সামনে থেকে কন্টাক্ট করেছে, কথা বলছে তারাই অপুকে নিয়ে প্রসংশা করতে বাধ্য হয়.. করো কাছ থেকে যখন প্রিয় মানুষটা’কে নিয়ে এসব ভালো বর্ণনা গুলো শুনি তখন তার প্রতি ভালোবাসা এন্ড রেসপেক্ট আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।