পাবনায় যৌন উত্তেজক ঔষধ তৈরির কারখানার সন্ধান, ২ লাখ টাকা জরিমানা

অপরাধ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মাছুম বাজার এলাকায় কসমিকো ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড নামে একটি অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


বিজ্ঞাপন

এ সময় ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, ঔষধ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়।

পরে কারখানার মালিককে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমান করা হয়। বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়

পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে কারখানা স্থাপন করে অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ তৈরি করে আসছিলেন কারখানার মালিক মমতাজ পারভীন।

এসব অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ পাবনা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বাজারজাত করছিলেন। ইতোপূর্বে কসমিক ইউনানির তৈরি আরক লাহা মিনা নামক ঔষধ এর নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট এ সিলডেনাফিল সাইট্রেড শনাক্ত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি, মহাখালী, ঢাকা। এ বিষয়ে ও উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
জানা গেছে উক্ত কোম্পানির মানিক মমতাজ বেগম একজন ধুরন্ধর মিথ্যাশ্রয়ী ও চালাক প্রকৃতির মানুষ তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এধরণের কেমিক্যাল যুক্ত যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন। তার কারখানায় উৎপাদিত ভয়ংকর রকমের পার্শপ্রতিক্রিয়া যুক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রী সেবনে যুব সমাজ যৌন বিকারগস্ত মানষিক রোগীতে পরিনত হচ্ছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি ছেলে মেয়েরা এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ সেবন করে অকালে লিভার, কিডনি ও হার্ট এটাকের ঝুঁকিতে পড়ছে। সচেতন মহল এর মতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কর্মের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে, তা না হলে বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত এসব যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রীর বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে না।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, ঔষধ এবং এসব তৈরির উপকরণ সিলডেনাফন সাইট্রেড জব্দ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কারখানা মালিক হাকিম মোছাঃ মমতাজ পারভিন কে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

এ সময় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ও পাবনা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল সালাম উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরকে সব ধরনের মাদক, অপরাধ ও সন্ত্রাসমুক্ত করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।