জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গৌরবদীপ্ত পথচলা

Uncategorized জাতীয়

কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে যুদ্ধরত সিরিয়াতে একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়ে শান্তি রক্ষায় মুসলিম দেশগুলোর সাথে তাঁর সরকারের বন্ধুত্ব স্থাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেস্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ়অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এর ফলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এই আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

১৯৮৮ সালের ইউএন ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউনিমগ) মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে যে অগ্রযাত্রার সূচনা হয়, পরবতী‌র্ বছরগুলোতে দক্ষতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও কর্মস্পৃহার মৃর্তপ্রতীক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের অবস্হান সুসংহত করেছে।

আজ ‘জনগণের অংশীদারিত্বেই শান্তি ও সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে আজ রবিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪৩টি দেশের ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশনে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৮ শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে জাতিসংঘের ইতিহাসে বিশ্বশান্তি রক্ষায় রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এখন শান্তিরক্ষার ৯টি মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ৩২৪ জন নিয়োজিত রয়েছেন।

শেষের দুইটি ছবিতে যেসব দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মিশনে নিয়োজিত সদস্য আছেন তাদের তালিকা এবং শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ শহীদদের নাম।


বিজ্ঞাপন
👁️ 5 News Views