এবার আনিসের পালা

অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় রাজনীতি

আছেন গোয়েন্দা নজরদারিতে

বিশেষ প্রতিবেদক : চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে আলোচনায় আসে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের নাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে তার দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। যুবলীগ অফিসের একসময়ের পিয়ন এই আনিস এখন আড়ালে রয়েছেন। ইসমাইল হোসেন সম্রাটসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তারের পর এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর যুবলীগের এই নেতার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগেরই অনেকে। তারা অভিযোগ করে, আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে পাঁচ হাজার টাকা। সাত বছর পর বনে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে যুবলীগের অফিস দেখাশোনার চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া এই আসিন এখন সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রভাবশালী নেতাদের ব্যবহার করে সামান্য বেতনের কর্মচারী থেকে বনে গেছেন কোটিপতি। দুর্নীতি-মাদকবিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। যেকোনো মুহূর্তে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের একজন নেতা বলেন, ২০১২ সালের সম্মেলনের পরে কাজী আনিসকে প্রথমে উপদপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সম্মেলনের পরে ঘোষিত এই কমিটিতে দপ্তর সম্পাদকের পদটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। পরে সংগঠনের শীর্ষ নেতার পছন্দে আনিসকে দপ্তর সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এই পদ পাওয়ার পরে কমিটি বাণিজ্য, টেন্ডার, চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন আনিস। হয়ে যান কোটিপতি।
ওই নেতা বলেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আসায় আত্মগোপনে চলে যান আনিস। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তিনি কোথায় আছেন সেই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
যুবলীগের একজন সম্পাদকম-লী সদস্য বলেন, কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শুনছি আনিস গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *