প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও শেষ হয়নি পাহাড়তলী রেল কারখানার সংস্কার কাজ

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি বাংলাদেশ রেলওয়ের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামতখানায়। ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরাতন যন্ত্রপাতি, অর্ধেকেরও কম জনশক্তি আর চাহিদার অপ্রতুল বাজেটের কারণে প্রতিনিয়ত সক্ষমতা হারাচ্ছে এক সময়ের জৌলুসে ভরা কারখানাটি। কমে গেছে খুচরা যন্ত্র উৎপাদন, বাড়ছে মেরামত ব্যয়।
বর্তমানে পূর্বাঞ্চল রেলের ৯০৭টি কোচ ও ২ হাজার ৫৩০টি পণ্যবাহী ওয়াগন মেরামতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৭০ বছরে এ অঞ্চলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়লেও, দিন দিন কমছে এই কারখানার সক্ষমতা। কাজ চলছে ৫০-৭০ বছরের বিলুপ্ত প্রায় প্রযুক্তিতে। এখানকার ৪৩১টি মেশিনের মধ্যে ২০০টিরও বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বহুকাল আগেই।
কারখানা কর্মচারীরা বলেন, মেশিনগুলো পুরাতন, এ দিয়ে মাস প্রোডাকশন আসবে না। আবার অধিকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। কাজ করতে খুব সমস্যা হয়।
কারখানাটি প্রতি বছর ৩০০টি কোচ আর ৪০০টি ওয়াগন মেরামত করতে সক্ষম হলেও, অর্জিত হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা। প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি রয়েছে ৬০ শতাংশ। চাহিদার ৫০ শতাংশ ঘাটতি থাকে বরাদ্দে।
এক সময় এখানকার ৬টি উপ-শপে ১৫০ ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদন করা হতো যা রেলের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। আর এখন রেলকেই বাইরে থেকে কিনতে হয় খুচরা যন্ত্রাংশ।
সম্প্রতি কেনা হয়েছে বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি, যদিও এর সুফল পেতে সময় লাগবে আরও। আর ঝিমিয়ে পড়া কারখানাটিকে সচল করতে ২০০৭ সালে কয়েকটি প্রকল্প নেয়া হয়, কয়েক দফা প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও এখনও শেষ হয়নি সংস্কার কাজ।
তবে কাক্সিক্ষত সুফলের জন্য চলমান প্রকল্প যথেষ্ট নয় বলে মত ওয়ার্কশপ তত্ত্বাবধায়কের।
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের তত্ত্বাবধায়ক এফ এম মহিউদ্দীন সময় নিউজে বলেন, প্ল্যানস মেশিনারিজ ১০২টির মধ্যে সব কটিই ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এই প্রকল্প যদি সমাপ্ত হয়, তাহলে দিনে আমরা তিনটি গাড়ি মেরামত করতে পারবো আশা করছি। কিন্তু আগামি ২০ বছর পরে আমাদের চাহিদা আরও বাড়বে। এখানে রোলিং স্টোকের সংখ্যা আরও বাড়বে। সেই বিবেচনায় এখানে চারটি অথবা পাঁচটি গাড়ি মেরামত করার প্রয়োজন হবে। সেখানে এই ওয়ার্কশপ আরও ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। এবছরই বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ১০০ জনশক্তির মধ্যে প্রায় ৩০০ জনের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *