সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু

Uncategorized জাতীয়


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।

এ সময় আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। এ জন্য সরকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ৪ কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেওয়ার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দেব। এক্ষেত্রে আমাদের মানুষ আছে ৮০ লাখ।

এর আগে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে করোনার চতুর্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু করছি।

দেশের প্রতিটি কেন্দ্রেই অন্যান্য ডোজ টিকার সঙ্গে চতুর্থ ডোজও প্রয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।’

যদিও এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দেশে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে কিছু মানুষকে চতুর্থ ডোজের টিকা প্রয়োগ করা হবে। দুই সপ্তাহ তাদের পর্যবেক্ষণ শেষে সারা দেশেই দেওয়া হবে।

তবে অন্যান্য ডোজের মতো চতুর্থ ডোজ আপাতত গণহারে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। প্রথম ধাপে পাঁচ শ্রেণির মানুষ পাবে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজের টিকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডোজপ্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন নিুলিখিত ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। টিকা প্রদানে ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার পাবে।

এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী। স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, বেসামরিক বিমান, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়, সম্মুখসারির গণমাধ্যম কর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি (সব ধর্মের), মৃতদেহ সৎকার কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখসারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, চিকিৎসা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী।


বিজ্ঞাপন
👁️ 9 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *