সাবরিনা-আরিফ দম্পতি ও তাদের যত কাণ্ড

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ডা. সাবরিনা চৌধুরী। পেশায় একজন চিকিৎক। তার সবশেষ কর্মস্থল ছিলো রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট। এছাড়াও টেলিভিশনে স্বাস্থ্য বিষয়ক টকশো করেও পরিচিতি পান। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে করোনাকালের শুরুতে ডা.সাবরিনা আলোচনায় চলে আসেন।

করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভয়ঙ্কর এক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় শিরোনামে ওঠে আসেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও স্বামী আরিফ চৌধুরী। করোনা মহামারীকালে মানুষের জীবন নিয়ে প্রতারনার অভিযোগে উঠে আসে তাদের নাম।

বেরিয়ে আসে আরিফ-সাবরিনা দম্পতির নানা গল্প। দু’জনের বিয়ে হলেও কারোরই প্রথম সংসার নয় এটি। আরিফের চতুর্থ স্ত্রী সাবরিনা। আর সাবরিনারও মিলছে একাধিক সংসারের খবর। যার প্রতিটি, তার সাফল্যের সিড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার মাধ্যম।

ডা. সাবরিনা নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই দিতেন আকর্ষণীয় আর মডেলিংয়ের নানা ছবি-ভিডিও। স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জেকেজি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদেও থাকতে হতো ব্যস্ত। ফাঁকে, জাতীয় হৃৎরোগ ইন্সটিটিউটের ডাক্তারির দায়িত্বও পালন করতেন তিনি।

আরিফ চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী সাবরিনা। তার দুই স্ত্রী থাকেন রাশিয়া ও লন্ডনে। আর আরেকজনের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সাবরিনা-আরিফ দম্পতি নিয়েও অনেক খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করে। জানা যায়, তাদের সংসারও মসৃণ ছিলো না।

সাবরিনাকে একদিন এক চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটানো অবস্থায় পেয়েছেন স্বামী আরিফ চৌধুরী। পরে আরিফের মারধরের শিকার হন ওই চিকিৎসক। এনিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা শেরেবাংলা থানায় একটি জিডি করেছিলেন।

জেকেজির এক কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় গুলশান থানার আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এসব নিয়ে সেই সময় আলোচনার কমতি ছিল না। সম্প্রতি এই দম্পতি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। প্রতারণার বিশাল অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।

জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি মনগড়া ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে।

জেকেজির গুলশানের অফিস থেকে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে এই দম্পতি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় আট কোটি টাকা। করোনার এই রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে ২০২০ সালের ১২ জুলাই জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মূলত সাবরিনার হাত ধরেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজটি ভাগিয়ে নেয় অনেকটা অখ্যাত জেকেজি নামে এই প্রতিষ্ঠান। জালিয়াতির কাজে সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের রেজিষ্টার সার্জন হয়েও তিনি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকারি চাকরি করেও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ ভাগাতেন।

এর বাইরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড, মাদকতা, বিশিষ্টজনের নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা নেয়া, হুমকি-ধামকি, সন্ত্রাসী বাহিনী লালন পালন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
বিএমএ নেতার পরিচয় ভাঙিয়ে চলাফেরা করতেন সাবরিনা।


বিজ্ঞাপন
👁️ 17 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *