গোপালগঞ্জে  মাদ্রাসার মুহতামিমের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ : সালিসির মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী :  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রহিমদিয়া (রামদিয়া) এলাকায় অবস্থিত মারকাজুল কুরআন মহিলা ক্যাডেট মাদ্রাসার আবাসিকের  হেফজ বিভাগের  ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রহিমদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুস্তাফিজুর রহমান জিন্দারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সালিসির মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মুস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৫৫) কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই নিজ বাড়িতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বর্তমানে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১১ অক্টোবর শনিবার সকালে অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান রান্নাঘরে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ছাত্রীটি জোর করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্রুত পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়।


বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর আসরের নামাজ শেষে রহিমদিয়া মসজিদে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা ও তার কয়েকজন নিকট আত্মীয় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবি জানান।


বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “মরিয়মের পিতা অভিযোগ নিয়ে এসেছিল এটা সত্যি, তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

তবে অভিযোগের পর স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মীমাংসা করিনি, তবে আমার ভাতিজা চেয়ারম্যান হয়তো মীমাংসা করে থাকতে পারে।”

এদিকে, মুস্তাফিজুর রহমানের এক সহযোগী (খাদেম) স্বীকার করেছেন যে, “দশ হাজার টাকার বিনিময়ে অভিযোগের মীমাংসা করা হয়েছে” এমন কথাও এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানান, “আমার মেয়ে মরিয়মকে মুস্তাফিজু হুজুর মেরেছে। সে আমার মেয়ের শিক্ষক না, কোনো ক্লাসও নেয় না। এখন আমরা মেয়েকে সেখানে আর পাঠাচ্ছি না। অন্য কোথাও ভর্তি করাবো। আমরা গরিব মানুষ, কিছু বলতে পারি না, কারণ এলাকাতেই প্রভাবশালীরা সালিশ করে দিয়েছে।” মোস্তাফিজুর রহমান এবিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ সাদেক আহমেদকে দায়ী করে বলেছেন ষড়যন্ত্র করে সাদেক আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করছে। সাংবাদিক সাদেক আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে মোস্তাফিজুর রহমানের কোন ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নেই। আমি কেন তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক লেলিয়ে দিব। আপনাদের কাছে দেয়া তার বক্তব্যই প্রমাণ করে তিনি দোষী না নির্দোষ।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান জিন্দারের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে। উল্লেখ্য মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী রামদিয়া হিন্দু নাম হওয়ায় তাকে রহিমদিয়া নাম দিয়েছেন। বিষয়টিকে এলাকার মানুষ সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বলে মনে করছেন। স্থানীয়রা এবিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

👁️ 99 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *