
নইন আবু নাঈম তালুকদার (শরণখোলা) : ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার ছয় বছর পরও বর্তমানে জাহাঙ্গীর, মানজুর, দয়াল এবং দুলাভাই বাহিনীসহ কমপক্ষে ২০টি পুরোনো ও নতুন দস্যু দল পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

দস্যুদের অত্যাচারে জেলে, মৌয়াল ও কাঁকড়া সংগ্রহকারী বনজীবীরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন; অপহরণ করে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় এবং বন্যপ্রাণী পাচার এই অঞ্চলে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হওয়ায় উপকূলীয় জনজীবন ও বনের অনন্য জীববৈচিত্র্য ফের মারাত্মক সংকটের মুখে।
মূলত আত্মসমর্পণের পর পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হওয়ার হতাশা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী গডফাদারদের মদদ এই দস্যুতার পুনরুত্থানের প্রধান কারণ।

দস্যুদের অবৈধ কর্মকাণ্ড—যেমন: বিষ দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার—সুন্দরবনের পরিবেশগত ভারসাম্য ও বাস্তুসংস্থানে স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনছে।

এই পরিস্থিতিতে মোংলা কোস্টগার্ড গত এক বছরে ৪৪ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করলেও, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও রেজাউল করীম চৌধুরী জানিয়েছেন যে, দস্যুদের অবস্থান শনাক্তে বনরক্ষীদের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত অভিযান শিগগিরই আরও জোরদার হবে।
