গোপালগঞ্জে ধর্মান্তর, বিয়ে ও সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ : ভুক্তভোগী অনামিকা লাকীর সংবাদ সম্মেলন 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  :  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক হিন্দু নারী  ধর্মান্তরিত হয়ে  মুসলমান যুবককে বিবাহ করার কারনে তার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তার এলাকার হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু  লোকজন এ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।


বিজ্ঞাপন

২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে গোপালগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  ভুক্তভোগী  অনামিকা লাকি লিখিত বক্তব্যে জানান,  আমার প্রয়াত স্বামী অসীম কুমার সাহা বিগত ৫ বছর পূর্বে কিডনি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দুটি নাবালিকা কন্যা সন্তানসহ আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। সেখান থেকে শুরু হয় আমার জীবন যুদ্ধ।

সম্পত্তির লোভে আমার ভাশুর দেবররা নানাবিধ অত্যাচার চালায়। আমার নামে কুৎসা রটনা সহ নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এদিকে আমার বড় কন্যা লাবণ্য সাহা অপ্রাপ্ত বয়সে একটি বখাটে ছেলের প্রেমে পড়ে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে সন্তান সম্ভাব্য দেখা দিলে আমি তাকে মারধর করতে উদ্যত হলে আমাকে উল্টো তার প্রেমিক সহ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতে থাকে।


বিজ্ঞাপন

আমার দেবর ভাশুর সহ মেয়ে ও তার প্রেমিকের কারসাজিতে ২০২৩ সালে আমার দোকান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।


বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানায় ডায়েরি করা আছে। আমি প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় মহাজনের নিকট হইতে স্বর্ণ বাকি নিয়ে আবারো কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। কিন্তু আমার মেয়ে লাবণ্য সাহা ২০২৪ সালে রাতের অন্ধকারে দোকানে রাখা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার সহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ঐ কুলাঙ্গার গৌরব সাহার সাথে পালিয়ে যায়। আমি আবারো আমার স্বামীর রেখে যাওয়া অর্থ হারিয়ে ফেলি।

আমার পূর্ব হতেই ইসলাম ধর্মের প্রতি টান ছিল। ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে আমি স্নাতক লাভ করি। বিগত ইং ৪/৫/২০২৫ তারিখে আমি এফিডেফিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করি। এবং মুসলমান একজনকে বিবাহ করি। এটা আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।

আমাকে রাতের অন্ধকারে এক কাপড়ে আমার ভাশুর বিনয় সাহা, সঞ্জিত সাহা, গৌতম সাহাসহ বাজার কমিটির সভাপতির প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমার অবাধ্য বড় মেয়ে ও তার স্বামীকে দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করে।

আমি আমার ছোট নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে স্বামীর কাছে গিয়ে ঠাঁই নিলে এদিকে তাহারা সবাই মিলে আমার বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে আমার অবাধ্য মেয়ে জামাইকে ঘরে তুলে দেয়। আমার সম্পা জুয়েলার্স, পাটগাতী, টুঙ্গিপাড়া দোকানে ওরা ওভার তালা লাগিয়ে দেয়। আমাকে পাটগাতি বাজারে গেলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে বাজারে যেতে পারছি না।

এ দিকে আমার দোকানে যারা গহনার অর্ডার দিয়েছিল তাদের গহনা দোকানের সিন্দুকে রাখা বিধায় দিতে পারছি না। কাস্টমার নানা হুমকি প্রদর্শন করছে। এখন আমার বেঁচে থাকা দায়। আমার পরনের কাপড় চোপড় পর্যন্ত আনতে দিচ্ছেনা। আপনারা বলেন, মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করাটা কি আমার অন্যায় হয়েছে? আমার কি ধর্মান্তরের স্বাধীনতা নাই?

আমার কি বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই? আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। সেই সাথে আমি আমার সকল কিছু ফেরত চাই।

👁️ 67 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *