দুদকের পদক্ষেপ কামনা  : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মালামাল না পেয়েই প্রায় ১৭ কোটি টাকার বিল পরিশোধ !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মালামাল না পেয়েই প্রায় ১৭ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। আর এই বিলটি পরিশোধ করেছেন প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা: মো: শাহিনুর ইসলাম । অবৈধভাবে ঠিকাদারের বিল পরিশোধের বিষয়ে মুল কলকাঠি নেড়েছেন স্টোর অফিসার ডা: আয়শা সুলতানা এবং মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান ।


বিজ্ঞাপন

সুত্র মতে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে সমগ্র বাংলাদেশের বিভাগীয় অফিস সমুহে কৃষকদের নিকট বিনামূল্যে গরু ছাগল/হাঁস-মুরগীর ঔষধ সরবরাহ করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বাৎসরিক ঔষধ ও ভিটামিন কেনা হয় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহন করে সকল দপ্তরে সরবরাহ (বন্টন) করা হয়।

পরিচালক প্রাণিসম্পদ ঔষধাগার দপ্তর সুত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ঔষধ ও ভিটামিন, মিনারেল কেনার জন্য ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে কার্য্যাদেশ প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে (ক) একমি ল্যাবরেটরীজকে প্রায় ১০ কোটি টাকা (খ) মেসার্স সুপার পাওয়ারকে প্রায় ৪ কোটি টাকা, (গ) মেসার্স ফার্মা এন্ড ফার্মকে প্রায় – ১.২০ কোটি টাকা, ( ঘ) মেসার্স মীর সোসিয়েটসকে – ৬৭ লক্ষ টাকা (ঙ) মেসার্স এসকে ট্রেডারসকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ( চ) মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজকে- প্রায় ১ কোটি টাকার বিল প্রদান করা হয়।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু মূল বিষয় হলো: কোন প্রতিষ্ঠানই ৫০% এর বেশী মালামাল সরবরাহ করেনি। এর মধো মীর এসোসিয়েটস এবং একমি ল্যাবরেটরীজ ৩০% মালামাল সরবরাহ করেছে।


বিজ্ঞাপন

অথাৎ ১৭ কোটি টাকার মধো মাত্র ৮ কোটি টাকার মালামাল সরবরাহ নিয়েই ঠিকাদারদের সমুদয় মালামাল গ্রহন কমিটি কর্তৃক গ্রহন এবং ভৃয়া স্টক এন্ট্রি দেখাইয়া স্টোর অফিসার ডা: আয়শা সুলতানা কর্তৃক ভৃয়া প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে এজি হতে বিল পাশ করিয়ে ১৭ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

মালামাল না নিয়ে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের বিষয়ে পরিচালক ঔষধাগার ডা: শাহিনুর আলমের নিকট জানতে চাওয়়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, অবশিষ্ট মালামাল খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে এই শর্তে ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিষয়টি ডিজি ড. মো: আবু সুফিয়ান মহোদয় জানেন।

অধিদপ্তরের একাধিক সুত্র জানান যে. ড. মো: আবু সুফিয়ান ডিজির দায়ি়ত্ব নেয়়ার পর হতে কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না বা কাউকেই পাত্তা দেন না। তিনি তার ইচ্ছা মত যাকে খুশী কাজ বা সুবিধা দেন।

প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা: মো: শাহিনুর ইসলাম । অবৈধভাবে ঠিকাদারের বিল পরিশোধের বিষয়ে মুল কলকাঠি নেড়েছেন স্টোর অফিসার ডা: আয়শা সুলতানা এবং মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান।

 

সুত্রটি আরোও জানায়, দেশের বিভিন্ন উপজেলা/ জেলা/ বিভাগীয় পর্যায়ের দপ্তরে বছরের শেষের দিকে শুধু অফিস সমুহ মেরামত/ সংরক্ষনের জন্য কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব বাজেট হতে বরাদ্দ দিয়ে কাজ না করিয়েই সমুদয় টাকা ডিজি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

ঐ সকল দপ্তরের অফিস রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ এবং আনুষাংগিক খাতে খরচ সমুহ এলডিডিপি/ সক্ষমতা প্রকল্প সহ অন্যান্য প্রকল্প হতে করানো হয়েছে। খোদ অধিদপ্তরে গ্যারেজ রক্ষনাবেক্ষনের নামে ১% কাজ না করেই ২৫ লক্ষ টাকা আতনসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ানের সেল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

বিষয়টি দুদুকের মাধ্যমে একটি টিম গঠন করে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ও দুদক চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ কামনা করেছেন অধিদপ্তরের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

👁️ 2 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *