ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন অ্যাম্বুলেন্স চালকদের

জাতীয় জীবন-যাপন স্বাস্থ্য

বিনা খরচে রোগী পরিবহনের সেবা দিচ্ছে যুবলীগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা রোগীদের সংস্পর্শে এসে ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও। নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি থাকলেও পেশাদারিত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবতার খাতিরে করোনা যুদ্ধে সামিল হয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত অন্যদের মতো অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরও প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। চালকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করে রোগী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
করোনা আতঙ্কে বদলেছে জনজীবনের গতি। সংক্রমনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও।
অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্স চালকই রোগী পরিবহন করছেন শুধু মাস্ক ও গ্লাভস পরে। কারো আবার শুধু একটি মাস্কেই ভরসা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকায় প্রতিনিয়তই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে তারা। এদিকে হোটেল বন্ধ থাকায় গাড়ির চাকা গড়ালেও খাবার মিলছে না সবসময়। পরিবারকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কেউ ঠাঁই নিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স মালিকের বাড়িতে, কারো রাত পার হচ্ছে তার বাহনটিতেই।
সেবা দিতে গিয়ে পুলিশের রিকুইজিশন ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ চালকদের। তাই সংকটের এই সময়ে ক্ষতিপূরণ ও প্রণোদনার দাবির পাশাপাশি ভোগান্তি এড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, রাজধানীতে করোনা ও অন্যান্য রোগী পরিবহনে ৯ এপ্রিল থেকে ২০টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা বিনা খরচে রোগী পরিবহনের সেবা দিচ্ছে যুবলীগ। সংগঠনের ওয়েবসাইটে দেয়া নাম্বারে ফোন করে যে কেউ এই সেবা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করে রোগী পরিবহন করতে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরই মাঝে দেশে করোনায় মৃতদের তালিকায় যোগ হয়েছে এক এম্বুলেন্স চালকের নাম। তাই এই ক্রান্তিকালে অ্যাম্বেুলেন্স চালকদেরও ক্ষতিপূরণ ও প্রণোদণার আওতায় আনার দাবি সংশ্লিষ্টেদের।


বিজ্ঞাপন
👁️ 17 News Views