শরণখোলায় রেকর্ড আমন ফলন: উচ্চ ফলনশীল জাতের সাফল্যে হাসছে ৭০ হাজার বিঘা জমি

Uncategorized অর্থনীতি কৃষক ও কৃষি খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ নইন আবু নাঈম তালুকদার (শরণখোলা)  : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় ‘সুপার বাম্পার ফলন’ অর্জিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বর্তমানে সোনালী ধানের শীষে স্বপ্ন দুলছে এবং নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে চারপাশ মুখরিত; কৃষকরা ইতোমধ্যে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মসুল আলম নিশ্চিত করেছেন যে, এ বছর উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল বিনা ৭ ও ১৭, ব্রি ধান ৩৯, ৪৯, ৭১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ১০৩ সহ স্থানীয় জাত মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার বিঘা জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

কৃষি বিভাগ এই বাম্পার ফলনের কারণ হিসেবে তাদের সকল সহায়তা, নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং লবনাক্ততা সহনশীল স্বল্প জীবনকালীন ধানের জাতের চাষাবাদকে চিহ্নিত করেছে।


বিজ্ঞাপন

কৃষকদের উৎসাহিত করতে ৩৫টি প্রদর্শনী এবং প্রায় ৫৫০ জন চাষীকে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের আদর্শ চাষি নীরব হালদার প্রতি বিঘায় ৩৩ থেকে ৩৫ মন ধান হওয়ার আশা করছেন এবং তিনি গত বছর দুই বিঘা জমিতে ৪৯ জাতের ধান চাষ করে ৬৭ মন ধান পেয়ে সফল হয়েছিলেন বলে জানান।

উত্তর কদমতলা, ঝিলবুনিয়া, বকুলতলা, খোন্তাকাটা, সাউথখালী, ধানসাগর ও রায়েন্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলে এই চোখ জুড়ানো ফলনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যেখানে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ধানকাটা গ্রুপের সর্দার মধু মিয়াও ফলন অনেক ভালো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকার কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি প্রণোদনা এবং সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলেই এই সুপার বাম্পার ফলন অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, যার ফলে এখন মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহা উৎসব ও ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব।

👁️ 29 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *